ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অভিনব পন্থায় সংরক্ষিত বনের গাছ উজাড়
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:১৫ এএম  (ভিজিট : ৪২৬)
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অভিনব পন্থায় একটি চক্র বনের গাছ চুরিতে মেতে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বন বিভাগ। উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন বিটের গলাচিপা ও দশেরটিলা নামক স্থান থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ বিভিন্ন কৌশলে চুরি করা হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে লাঠিটিলা বন বিটের দায়িত্বে থাকা বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, যে স্থান থেকে গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে আমার অফিস থেকে সেখানে যেতে ৫-৭ মিনিট সময় লাগে। রেঞ্জার স্যারসহ জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে মিটিং করেছি। মাস পেরিয়ে গেলেও কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিট কর্মকর্তা।

জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, আমি ঢাকায় বন বিভাগের প্রশিক্ষণ শেষে ছুটিতে ছিলাম। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে কিছু কাটা গাছের গোড়া ও নতুন করে কয়েকটি গাছের গোড়ায় রিং করে কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে গাছ নিধনে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে চোর চক্র। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রিং পদ্ধতি। এটি চোর চক্রের নতুন একটি কৌশল। এ পদ্ধতিতে প্রথমে গাছের গোড়া কেটে ফেলা হয়। পরে ধীরে ধীরে গাছটি যখন মরে শুকিয়ে যায় তখন মারা যাওয়া গাছটি সহজেই কেটে ফেলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের ভেতর থেকে লক্ষাধিক টাকার প্রায় ১৫টি বড় আকারের সেগুনগাছ কেটে চুরি করে নিয়ে গেছে একটি চক্র।

এ ছাড়াও বনের লালছড়া ও জরিছড়া ফাঁড়ি এলাকার গলাচিপা ও দশেরটিলা নামক স্থানের কয়েকটি টিলা ভূমিতে ছোট বড় প্রায় ২৫-৩০টি গাছের গোড়া কেটে রিং করে রাখা হয়েছে। গাছগুলোর কাটা অংশ যাতে দেখা না যায় সে জন্য কৌশলে কাদা মাটি দিয়ে গাছের গোড়া ঢেকে রাখা হয়েছে। কিছু কাটা গাছের গোড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু গাছের গোড়া মাটি থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। একই এলাকার অন্যপাশে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বেশ কয়েকটি গাছ কেটে জ্বালানি কাঠ হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close