ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ধুঁকছে সরকারি চিনিকল, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:২৭ এএম  (ভিজিট : ৩৩০)
দেশে দিন দিন চিনির চাহিদা বাড়ছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদন কমছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো একসময় বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টন চিনি উৎপাদন করত, যা বাজার নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করত। কিন্তু ৬টির উৎপাদন বন্ধ রাখায় দেশি উৎপাদন কমে ২৫ হাজার টনে নেমে এসেছে।

এতে দেশের চিনি খাত প্রায় শতভাগ আমদানিভিত্তিক বেসরকারি কলগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে চিনির বাজারের ওপর সরকারের কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। চিনির সংকট শুরু হওয়ায় বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলোই চিনির বাজারে বাড়তি মুনাফা তুলে নিচ্ছে। তারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ালেও সরকারের কাছে মূল্য নিয়ন্ত্রণের এখন আর কোনো উপায় নেই।

শুক্রবার সময়ের আলোতে এসেছে, চিনির বেসরকারি খাতের মিল মালিক বা ব্যবসায়ীরা যেখানে প্রতি বছর লাভ করছেন কোটি কোটি টাকা, সেখানে রীতিমতো ধুঁকছে সরকারি চিনিকলগুলো। লোকসানের কারণে দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে বন্ধ রয়েছে ছয়টি। বাকি ৯টি মিলে বছরে উৎপাদন হয় মাত্র ২৫ হাজার টন চিনি। অথচ দেশে বছরে চিনির চাহিদা ২০-২২ লাখ টন। সরকারি চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন কম হওয়ায় বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা চিনির বাজারে একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আশার কথা, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বৃহস্পতিবার রমজানের আগে চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, একদিকে বেসরকারি মিল মালিকদের ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে চিনিকলগুলোর আজকের এ অবস্থা। সরকার বছরের পর বছর এসব কারখানা পরিচালনায় ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে সরকারি চিনিকলগুলোতে যেমন লোকসান বেড়েছে, তেমনি বছর বছর বেড়েছে ঋণের বোঝাও।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশের অন্যতম কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প সরকারি চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই উচিত হয়নি। বন্ধ চিনিকলগুলো চালু থাকলে দেশে কম করে হলেও এক থেকে দেড় লাখ টন চিনি উৎপাদন হতো। ওই চিনি দিয়ে আপৎকালীন বাজার নিয়ন্ত্রণ সহক হতো।

কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ‘র’ সুগার আমদানি করে সেগুলো মিলে রিফাইন করে বাজারে ছাড়ছে। ফলে চিনির বাজার এখন পুরোপুরি ওই গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কব্জায়। ১ বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানগুলো চিনির দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। শেষ পর্যন্ত তার বোঝা চাপে জনগণের কাঁধে। বাজার কারসাজিতে যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। 

সরকারি চিনি কলগুলোকে সচল ও উৎপাদন মুখী করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো কীভাবে লাভজনক করে তোলা যায় সে বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। 


 
সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close