ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

৩০ বছর পর দুঃখ ঘুচলো পাঁচ গ্রামের মানুষের
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত ২৫ হাজার বিঘা আবাদি জমি
প্রকাশ: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:০২ এএম  (ভিজিট : ২৬২)
বিলের পানি অপসারণ হওয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর হাসি ফুটেছে যশোরের শার্শা সীমান্ত এলাকার পাঁচ গ্রামের মানুষের মুখে। বছরের পর বছর ধরে বিলের পানি অপসারণ না হওয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে ২৫ হাজার বিঘা জমিতে কোনো আবাদ করতে পারতেন না এ অঞ্চলের কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অবশেষে এবার বোরো আবাদের পাশাপাশি আগামীতে সব ধরনের ফসলের আবাদ করতে পারবেন তারা। 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শার্শার রুদ্রপুর সীমান্তের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা ইছামতী নদীর একটি শাখা থেকে সৃষ্ট ১৫২টি খাল ও বিলপাড়ের মানুষের আয়ের প্রধান উৎসই ছিল চাষাবাদ। ভারত থেকে আসা উজানের পানি ও বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট পানিতে সব সময় জলমগ্ন থাকায় ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হতো কৃষকদের। দীর্ঘ ৩০ বছর পর এ অঞ্চলের পাঁচ গ্রামের মানুষ ২৫ হাজার বিঘা জমিতে চাষ করে যেন ফসল ঘরে তুলতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। 

রুদ্রপুর, দাউদখালি, ভবানিপুর, কায়বার ঠ্যাংগামারি বিলের সংযোগস্থলে নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিক মানের সেচ পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। এ অঞ্চলের কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে এবারের জাতীয় নির্বাচনে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পানি নিষ্কাশনের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর শেখ আফিল উদ্দিন রুদ্রপুর, দাউদখালি, ভবানিপুর, কায়বার ঠ্যাংগামারি বিল পারের কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে ধান রোপণ কাজের শুভ সূচনা করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পরে কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় ভীষণ খুশি এ অঞ্চলের মানুষ। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা। 

স্থানীয় কৃষক তাইজুল ইসলাম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কোল ঘেঁষে বহমান ইছামতী নদীর পানি থেকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমেই বন্যা হয়। শুধু বর্ষা মৌসুম নয়, সারা বছরই পানির নিচে থাকে এ অঞ্চলের খাল ও বিলপাড়ের সব আবাদি জমি। কৃষিনির্ভর এলাকা হওয়ার পরও এখানকার মানুষের সারা বছর খাল ও বিল থেকে মাছ ধরে আয়-রোজকার বের করতে হতো। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবারও সোনালি ফসল উৎপাদন করতে পারব আমরা। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। 

কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম এবং কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পরে হলেও আশার আলো দেখতে পেরেছেন শার্শা সীমান্তের বিলপাড়ের মানুষ। শেখ আফিল উদ্দিন এমপির হাত ধরে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটল। শার্শা উপজেলায় ২৫ হাজার বিঘা আবাদি জমি জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। এসব জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলের চাষও বৃদ্ধি পাবে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close