প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম (ভিজিট : ৬১৪)
এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যার পর প্রথমে ক্যাম্পাসের গেটের সামনে এরপর ক্যাম্পাসের ভেতরে দুই গ্রুপের এ মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা চলতে থাকে। ঘটনায় দুই গ্রুপের ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এর আগে একাউন্টিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিবাদ বাধে। এ ঘটনার সূত্রপাতে গত মঙ্গলবার দুপুরে একাউন্টটিং বিভাগেই ওই ছেলেকে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের নেতাকর্মীদের (নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগ) ওপর অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর প্রধান ফটকের সামনে মারামারি হয়।
এসময় সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মী কম থাকায় তার গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসরিফ ও নিলয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গাজী সামসুল হুদা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এতে তাসরিফ মাথা ও নিলয় হাতে রক্তাক্ত গুরুতর আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পরবর্তীতে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা জড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নিয়ামত, সংগীতের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অনন্ত, কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিরাজ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শেখ রিফাত আব্দুল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তামিম ইকবালসহ আরও অনেকে আহত হয়।
এরপর সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দু্ই গ্রুপ থেকে অন্তত ১২-১৫ জনের বেশি আহত হয়। মারামারির সময় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ভীত হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, এটা দুই বিভাগের মারামারি। ক্যাম্পাসের ভিতরে ঘটেনি।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমরা সিসিটিভি দেখে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে মারামারি হয়েছে। সেটার রেশ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিল। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
সময়ের আলো/জেডআই