প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:২৪ পিএম (ভিজিট : ৭৯৮)
ঝালকাঠির রাজাপুরে কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার একদিন আগেও প্রবেশপত্র হাতে না পেয়ে অঝোরে কাঁদছে ফারজানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় পাগল প্রায় ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার।
শিক্ষার্থী ফারজানা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমি পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করবো।’
ফারজানা ও তার পরিবারের অভিযোগ, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে দাখিল পরীক্ষা। কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় রেগুলার মোট ৬ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে সবাই প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছে শুধুমাত্র ফারজানা ছাড়া। প্রবেশপত্র না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল ও অফিস সহায়ক কবির ফারজানাকে বলে তোমার ফরম ফিলাপের টাকা আমরা ফেরত দিবো, নয়তো আগামী বছর তুমি পরীক্ষা দিলে তোমাকে আর কোনো টাকা দিতে হবেনা।
এ বিষয়ে ফারজানার ভাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার সুপারসহ ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ জন। এ মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার জহিরুদ্দিন কামাল মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঢাকায় আছি। বোর্ড থেকে সমস্যা হওয়ার কারণে ফারজানা এডমিড কার্ড পায়নি। আমি সমস্যা সমাধানের জন্য বোর্ডে এসেছি।
দায়িত্বে থাকা মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান জানান, এডমিড সংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছু সুপার ও কেরানী জানে। আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তফা আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারকে ঢাকা বোর্ডে গিয়ে দ্রুত ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর এডমিড কার্ডের সমস্যা সমাধান করতে বলেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার কিংবা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের কোনো হাত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা সুপারকে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেছি।