প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৪৭ এএম (ভিজিট : ৬২৬)
মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীর চলমান যুদ্ধের জেরে গতকালও মর্টারশেল ও মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে উঠে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত। মিয়ানমারের গোলাগুলির শব্দে গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এই গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শুনে আতঙ্কের মধ্যে পড়ে এলাকাবাসী।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু সময়ের আলোকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রায় আধাঘণ্টা গুলির শব্দ শোনা গেছে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে।
স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, সকালে তারা ঝাঁকি জাল নিয়ে নাফ নদে মাছ শিকারে গেলে হঠাৎ গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে তারা আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান। যেন মনে হয়েছে গুলি তাদের মাথায় এসে পড়ছে। ভয়ে দ্রুত নাফ নদ থেকে ফিরে আসে জেলেরা। এ ঘটনার পর টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে ফের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি নীরব : সোমবার সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংণছড়ির ঘুমঘুম ইউনিয়নের তুমব্রুর ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্তের ওপারে বিজিপির ক্যাম্পে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখতে পান এলাকাবাসী। ওই দিন থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেলেও ঘুমধুম তুমব্রু এলাকায় গতকাল ছিল স্বাভাবিক। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি।
সীমান্ত এলাকবায় সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা বর্তমানে নীরব। স্থানীয়রা ফিরেছে নিজ কর্মস্থলে। সীমান্ত সড়কেও চলছে যানবাহন। তবে আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি।
স্থানীয়রা বলেন, ঘুমধুম এলাকার ৩১ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে দৌছড়ি ইউনিয়নের ৫১ নম্বর সীমান্তে পিলার টারগুছড়া পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে কোনো ধরনের গোলাগুলি এবং ভারী গোলাবারুদ বিস্ফোরিতের কোনো শব্দ সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসেনি।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা ঘোরাকালে মিয়ানারের অভ্যন্তরে সাহেব বাজারের থেকে বেশ দূরে কয়েকটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তবে ঘুমধুম সীমান্তে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো গুলির শব্দ পায়নি এলাকাবাসী।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকার সবচেয়ে স্পর্শকাতর তুমব্রু এলাকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের সীমান্ত পয়েন্টগুলো অনেকটা শান্ত রয়েছে।
ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ সময়ের আলোকে বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতির পর এখন কয়েক দিন ধরে স্বাভাবিক থাকায় মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু এখনও সীমান্তে বসবাসকারীদের পুরোপুরি আতঙ্ক কাটেনি।
সময়ের আলো/আরএস/