প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৪ এএম (ভিজিট : ৬৪২)
বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে নড়াইলে ন্যায্য দামে সার পাওয়া নিয়ে চাষিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউরিয়াসহ সব ধরনের সারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় নানা অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রকারভেদে প্রতি কেজি সার ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা। নিরুপায় হয়ে তারা অতিরিক্ত দামে সার ও কীটনাশক কিনছেন। তবে সারের বাড়তি দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করছেন সার ডিলাররা। অন্যদিকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে কৃষি বিভাগ।
সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া এবং টিএসপি ২৭ টাকা, এমওপি ২০ টাকা এবং ডিএপি ২১ টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও তা মানা হচ্ছে না। একদিকে জমিতে সেচ দিতে চড়া দামে ডিজেল কিনতে হচ্ছে চাষিদের, তার ওপর সারের বাড়তি দাম নিয়ে তাদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে।
নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক পারভেজ মোল্লা বলেন, সারের দাম বেশি হলেও কিছুই করার নেই। কৃষক হয়ে জন্মেছি, চাষাবাদ করেই খেতে হবে। ব্যাপকভাবে না হোক নিজের পরিবারের জন্য হলেও কিছু জমি আবাদ করতে হবে।
সার ডিলার মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান মল্লিক সারের বাড়তি দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কোনো ডিলার বাড়তি দাম নিচ্ছেন না। তবে কোনো কোনো সাবডিলার বাকিতে সার বিক্রি করে বেশি দাম নিয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকের সঙ্গে থেকে কাজ করছেন। কোনোভাবেই যাতে সারের ন্যায্যমূল্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময়ের আলো/জেডআই