প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪০ পিএম  (ভিজিট : ৪৮২)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে জেলা শহর মাইজদী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরআগে, গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃত আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত গোলাপের রহমানের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
 
নির্যাতিত গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)। মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। সে ৩-৪ দিন পর পর বাড়িতে আসে। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাহিরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে এ সুযোগে গতকাল (সোমবার) দিবাগত রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তার বসত ঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিন ধর্ষক। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে দুই ধর্ষক ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এক ধর্ষক। 
নির্যাতিতার স্বামী জানান, মুন্সী মেম্বার কিছু দিন আগে তার স্ত্রীকে পোড়া মোরগ খাওয়ানোর প্রস্তাব দেয় এবং বিপদ আপদে পড়লে সহযোগিতার কথা বলে। কিন্তু তার স্ত্রী ওই প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মুন্সী মেম্বার তার মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে উত্ত্যক্ত করত। পরে মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসব ঘটনার জের ধরে তারা এ ঘটনা ঘটায়।  

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার জানান, মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সময়ের আলো/আরআই