মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল দ্বিতল ভবনটি জরাজীর্ণ। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাধীনতার তিন বছর পর ১৯৭৪ সালে ছোট একটি ভবনে হাসপাতালে কার্যক্রম সাময়িক ভাবে শুরু হয়। পরে ১৯৮২ সালে ৩১ শয্যার এ হাসপাতাল ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। সবশেষ ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভবেরচর এলাকায় নির্মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা খসে ভেতরের রডও দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও রোগীদের জন্য নির্ধারিত সবগুলো শৌচাগারই বেহাল। বিধ্বস্ত অবস্থা দরজা জানালা গুলো। শৌচাগারের পানির কল দিয়ে সার্বক্ষণিক মেঝেতে পানি পড়তে পড়তে স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। রোগী ও স্বজনেরা সাবধানে পা টিপে টিপে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আকাশ, ইফরাত, বাদশা সরকারসহ কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ শৌচাগারের দরজা জানালা গুলোর অবস্থা বিধ্বস্ত। হাসপাতালে দেয়ালে শেওলা জমে গেছে। ছাদ থেকে মাঝে মধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভয় লাগে, না জানি কোন সময় ভেঙে পরে।
হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটি উপজেলার পৌনে দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা। অসহায় ও গরিব লোকজন এ হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। ভবনটি সংস্করণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া ইয়াকুব জানান, হাসপাতাল সংক্রান্ত মেরামত এবং সংস্কারের কাজ করে থাকেন হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি) ইতিমধ্যে এইচইডি বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এইচইডি জানিয়েছে তাদের সীমাবদ্ধতা হলো যে বরাদ্দ না পাওয়া কারণে এই কাজ দেরি হচ্ছে। এইচইডির প্রতিনিধি হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছে এবং বাজেট প্রাপ্তি মাত্র সংস্কারের কাজ শুরু করবে বলে জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় মৌখিক ভাবে অবহিত করেন।
সময়ের আলো/আরআই