ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিআরটিএতে শত কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রকাশ: রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:১০ পিএম  (ভিজিট : ৫৯৪)
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট ঘুষ-দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মূলত বিআরটিএর মিরপুর অফিসে ছদ্মবেশে অভিযানে এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এছাড়া সিএনজি প্রতিস্থাপনসহ নানা সেবা পেতে বিআরটিএতে ১১৩ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়ে। রোববার দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুদকের কাছে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দেন ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন। এতে বলা হয়- আয়ুষ্কাল শেষে অটোরিকশায় সিএনজি প্রতিস্থাপন করতে বিআরটিএতে তিন ধাপে ঘুষ দিতে হয়। প্রথম ধাপে কমপক্ষে ৫০ হাজার, এরপর নতুন নিবন্ধন নিতে ২৫ হাজার ও ভাঙা অটোরিকশা ফেরত পেতে ১০ হাজার টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ বছরে ১২ হাজার ৫০০ অটোরিকশা প্রতিস্থাপন ও মেয়াদ বাড়াতে ১১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সিএনজি প্রতিস্থাপন করতেই ঘুষ নেওয়া হয়েছে প্রায় ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নিবন্ধন দেয় বিআরটিএ। এসব গাড়ির ইকোনমি লাইফ (আয়ুষ্কাল) ধরা হয় ১৫ বছর। এরপর অটোরিকশাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে এসব গাড়ি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধাপে ধাপে প্রতিস্থাপন শুরু করে বিআরটিএ। এর জন্য তখন সরকারি ফি ছিল ১২ হাজার ১০০ টাকা। ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সব অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এসব অটোরিকশার মালিকদের নতুন করে আবার নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী-মালিক সমিতির ঐক্য পরিষদের একাধিক নেতা যোগসাজসে এ ঘুষ লেনদেন হয়। লিখিত অভিযোগ ঘুষ লেনদেনে সম্পৃক্ত রয়েছেন দাবি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, বিআরটিএতে ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ ও অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুদক থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি গ্রাহক সেজে বিআরটিএ মিরপুর অফিসে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় বাবু রায় নামে এক দালালকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও মো. মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়ার সমন্বয়ে একটি টিম ওই অভিযান পরিচালনা করেছিল।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close