ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ভবন ও শিক্ষক সংকট, মাঠে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত
সমস্যায় জর্জরিত চর জামাইলের স্কুলটি
প্রকাশ: শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:৩৩ এএম  (ভিজিট : ৫৫৬)
নানা সমস্যায় জর্জরিত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় অবস্থিত চর জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল মাঠে তৈরি হয়েছে বিশাল আকৃতির ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত। সেই গর্তে পড়ে যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও রয়েছে ভবন ও শিক্ষক সংকট। এসব কারণে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুলটিতে আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন অনেক কমে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, চর জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি আলাদা ভবন থাকলেও একটি ভবনের টিনের চাল নষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অন্যটি একতলা আধাপাকা ভবন যার একটি কক্ষ শিক্ষকদের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলোর মধ্যে একটিতে প্রথম শ্রেণির ও আরেকটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চলছে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি ছোট জানালাবিহীন কক্ষে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস চলছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠের পশ্চিম অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যেখানে দুরন্তপনায় মেতেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান জানুয়ারি মাসে অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) চলে গেছেন। ভবন সংকটের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আধাপাকা টিনের ঘরটি এতদিন স্থানীয়দের দখলে ছিল। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি বছর ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ পেলে ঘরটি সংস্কারের মাধ্যমে পাঠদানের উপযোগী করে দেওয়া হবে।

নিয়ম অনুযায়ী স্কুলটিতে ৬ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও এখন রয়েছেন চারজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার বলেন, চর জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়ায় বর্তমানে চারজন শিক্ষক রয়েছেন।

কথা হয় চর জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উছমান গণির সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন শীতের জন্য সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয়, চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষক সংকট থাকায় একটানা ক্লাস নিয়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে যাই। এ ছাড়া অনেক সময় দুয়েকজন অসুস্থ হয়ে গেলে ক্লাস মিস হয়ে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষকের চাহিদা পূরণ করা খুবই জরুরি।

সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close