প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৩ এএম (ভিজিট : ৪৮৮)
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও বাজারে সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের। মোকামেই ৩ হাজার থেকে তিন হাজার ১০০ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার হিলি স্থলবন্দরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ লাপাত্তা। মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৮২ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, যা গত শনিবার ছিল পাইকারি ৬৫ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হয় ৭০ টাকা। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি হিলি থেকে গত শনিবার ৭০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি। আজ (মঙ্গলবার) পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি দাম বেশি। পেঁয়াজ দরকার, তাই ৮৩ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা বেশি নিল। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে কীভাবে চলব? অথচ আমাদের মজুরি বাড়ে না।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মইনুল হোসেন বলেন, আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৭৮-৮০ টাকায় কিনে ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি করছি। শুনছি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়ছে।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ লাপাত্তা। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই মোকামেই দাম বেশি। দুই দিন আগে মোকামেই তিন হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ কিনেছি। আজ (মঙ্গলবার) মোকামে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম তিন হাজার ২০০ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এরপর গাড়ি ভাড়া আছে। তিন হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনলে হিলি বাজারে নিয়ে এসে প্রায় ৮৫ টাকা কেজি পড়বে। তাই আজ মোকামে পেঁয়াজ কিনতে যাইনি। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমে আসতে পারে।
সময়ের আলো/আরএস/