প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:২৩ এএম (ভিজিট : ৪৪৪)
বেশ আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) একটি অভিযোগ এসেছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ‘নিষিদ্ধ উৎস’ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছিল পিটিআই। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন এই অভিযোগটি নিয়ে নির্বাচন কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান হয়নি। তবে সম্প্রতি এ ইস্যুতে ইসিপি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশি কোনো উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং যদি তা প্রমাণ হয়, তা হলে সেই রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে। পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে এবং সেটিরই তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া গত ৯ আগস্টের দাঙ্গা এবং রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে মামলা চলছে ইমরান খান এবং পিটিআইয়ের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায়ও তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি এসব মামলায় ইমরান ও তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা দোষী সাব্যস্ত হন, সে ক্ষেত্রে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হবেন তারাও। ফলে সার্বিকভাবে এক চরম অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে পিটিআই।
‘পিটিআই নিষিদ্ধ হচ্ছে’ এই সংবাদটি অবশ্য পাকিস্তানের অপর দুই বড় রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) অন্য অনেক রাজনৈতিক দলের জন্য সুখবর। কারণ এই মুহূর্তে পিটিআই পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এবং ইমরান খান এখনও দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। বস্তুত, এখন পর্যন্ত পিটিআই এবং ইমরানের যে জনপ্রিয়তা পিএমএলএন এবং পিপিপি তার ধারে কাছেও নেই।
পিএমএলএন নেতা শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, পিটিআই নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকলেও শিগগিরই দলটিকে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে না।
সময়ের আলো/জেডআই