প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:০৯ পিএম (ভিজিট : ৫২৮)
দিনাজপুরে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুঁলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানালো আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সময়ের আলোকে জানান, আজ সকাল ৯টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুঁলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলে জানান তিনি।
এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় এবং শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকায় মানুষ শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন মানুষ ভিড় জমায়। বেচাকেনাও হয় বেশ। সন্ধ্যার পরও দোকানগুলো থেকে ক্রেতাদেরকে হাতের ও পায়ের মোজা, মাফলার, টুপি, কানটুপি জাতীয় কাপড় কিনতে দেখা যায়।
সময়ের আলো/এএ/