নিয়মের বেড়াজালে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে শত শত শিক্ষার্থী। সহপাঠীরা ভর্তি হতে পারলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি কোন বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে অভিভাবকরা রয়েছে চরম উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তায়।
সানজিদা আক্তার নামের এক মেয়ের অভিভাবক বলেন, গত ১ জানুয়ারি হয়েছে বই উৎসব। সকলের মতো ইচ্ছে ছিল মেধা শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারেরও। অন্যান্য সহপাঠীদের মতো সেও নতুন বই হাতে পাবে। করবে বই উৎসব। কিন্তু সেই আনন্দ হয়েছে গুড়ে বালি। নিয়মের বেড়াজালে আটকে গেছে তার ভর্তি প্রক্রিয়া। এমনই ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘিতে। উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের সানজিদা আক্তার হতে পারেনি তার পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তি।
জানা যায়, সারা দেশে একযোগে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধ। পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করে অনেক শিক্ষার্থী। কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লটারি করতে হয় স্ব স্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আর এতেই বাদ পড়ে যায় মেধাবী শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারসহ অনেক শিক্ষার্থী।
সানজিদা আক্তার উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ি এলাকার শাহিনুর আলমের মেয়ে ও সান্তাহার বি.পি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে মন খারাপ তার। সাথে অভিভাবকও আছেন দু:চিন্তায়। তাই সকল অভিভাবকের দাবি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধা অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক।
সানজিদা আক্তারের মা রেবা বেগম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে সান্তাহার হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু লটারিতে নাম না উঠায় ভর্তি করে দিতে পারি নাই। এদিকে জানুয়ারি মাসও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার মেয়ের ভর্তি অনিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, সকলের ইচ্ছে থাকে সন্তানদের পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো। তাই আমিও চেয়েছিলাম পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে। সেই জন্য ওই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করিয়েছিলাম আমার মেয়ের জন্য।
এ ব্যাপারে সান্তাহার হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষকরা বলেন, সরকার নিয়ম করেছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এক শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নেওয়া যাবে না। ভর্তি নিলেও তাদের বই দেওয়া যাবেনা। কারণ সরকারি বরাদ্দই প্রতি শাখায় ৫ সেট এ জন্য আমরা নিরুপায়।
আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, অনেকগুলো বিদ্যালয় আছে। একটাতে না হলে অন্যটাতে ভর্তি হবে। এখন পুরো বিষয়টায় অনলাইনে লটারির মাধ্যমে হয়ে থাকে। তবে সবাই কোন না কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।