কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নতি হয়েছে। শীতের এমন পরিস্থিতিতে সকল পেশা ও শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৭ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপার বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, রাজমিস্ত্রির কাজ করি। হাতে সব সময় সিমেন্ট বালু লাগি থাকে। এত ঠাণ্ডার মধ্যে যে কত কষ্ট হয় তা বলি শ্যাষ করা যায় না। কদ্দিনে যে এ ঠাণ্ডা কোমবে তা আল্লায় জানে।
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮-১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখি নাই। শীতের সাথে প্রচুর ঠাণ্ডা বাতাস এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। গত ১০-১২ বছরে জেলায় এমন শীতে প্রভাব পড়ে নাই। কেননা এবছর উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার। ফলে ঠাণ্ডার তীব্রতাটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আজ ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সময়ের আলো/আরআই