প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৩:১৯ পিএম (ভিজিট : ৬১৪)
শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তীব্র ঠাণ্ডা আর হাড় কাঁপানো শীতে আগুন পোহানোর ধুম পড়েছে। গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য শীতের সকালে দেখাগেছে খড়-কুটো দিয়ে আগুন পোহানো।
মাঘ মাসের শীতে সবাই গরমের পোশাকে জবুথবু। গরম কাপড় পরেও কনকনে হিম শীতল বাতাস থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে ওখানে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এবার হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আয়ের মানুষের। দৈনন্দিন কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে না পারায় পরিবার নিয়ে দুঃসহ দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। কনকনে ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
স্থানীয় সামছুর রহমান জানান, দিনে ও রাতে সমান তাপমাত্রা বিরাজ করছে এলাকায়। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। এ অবস্থায় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা চলছে সর্বত্রই। এদিকে ঠাণ্ডার কারণে কৃষি শ্রমিকরা কাজে যেতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষাবাদ। স্থানীয়রা জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকটে দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজিখেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা।
এনামুল হক বিজয় বলেন,দুই দিন ধরে সূর্যের মিলছে না। প্রতিদিন বেড়েই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠাণ্ডাজনিত রোগীদের ভিড়। কোথাও কোথাও সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হলেও এসবের দেখা মিলছে না কোথায়ও।
উপজেলা স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এবারের শীতে গ্রামগঞ্জে আগুন পোহাতে বেশ দেখা যায়। এটা নতুন কিছু নয় পূর্বে থেকেই। তবে আগুন পোহানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। শীতে শিশু-বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস, জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তীব্র শীতে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে দিনদিন।
সময়ের আলো/এএ/