ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সূর্যের দেখা নেই ৬ দিন, মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:২৭ এএম  (ভিজিট : ৭০৬)
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় সময় মত কাজে বের হতে পারছেন না তারা। বৃষ্টির ফোটার মত পড়ছে কুয়াশা। এই ঠাণ্ডায় অনেক কষ্টে পড়েছে স্কুল, কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীরাও। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ নদী তীরবর্তী ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটা জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। এছাড়াও কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।

হিমেল হাওয়া আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি। 

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৪০৫ জন। এদের অধিকাংশই শিশু। বর্তমানে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৪ জন শিশু। 

সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৬ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের নেপার দরগা এলাকার রিকশা চালক র্ভানু মিয়া বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছে না। এত ঠাণ্ডায় লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি।

সকালে পথে দেখা হয় এক জেলের সাথে তিনি বলেন, এই কনকনে শীতে বের হইছি মাছ ধরতে। তারপর বিক্রি করতে বাজারে যাবো। এই ঠাণ্ডায় হাত-পা ছিসটি লাগে। মাছ বিক্রি করতে না পারলে ছওয়আ-পওয়আ কি খাওয়ামো।

আর্দশ পৌর বাজারের জুতা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, আজ ৭-৮ দিন থেকে ঠাণ্ডার মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে তিনি জানান।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  তীব্র শীত   জনজীবন বিপর্যস্ত   ঠাণ্ডাজনিত রোগ   কুড়িগ্রাম   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close