ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে নাকাল জনজীবন
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:৪৫ এএম  (ভিজিট : ৭৩৬)
মাঘের প্রথম দিন আজ। শুরু হলো বাঘ পালানো শীত। হাড়কাঁপা শীতে নাজেহাল পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়া। টানা দুই দিন শৈত্য প্রবাহের পর সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে শীতের তীব্রতায় নাকাল এ জনপদের মানুষ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এরআগে, রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের দাপটে শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১২ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পর দুই দিন ১৩ জানুয়ারি ৯.৩ ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়েছে এ জেলায়। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাঘ মাস। গত এক সপ্তাহের মতো ভোর থেকে আজও ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে ঝরাচ্ছে শীতের তাণ্ডব। রাতভর কুয়াশার সাথে হিমেল শিশিরের মতো ভোর থেকে ঝরছে বৃষ্টির মতো শিশির। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে শহরের মানুষজন বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন তারা।

এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের পেশাজীবীর মধ্যে পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান চালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠাণ্ডার প্রকোপের কারণে ক্ষেত-খামারে কাজ করতে পারছেন না। বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দূর্ভোগে। 

পাথর শ্রমিক, দিনমজুর ও ভ্যানচালকরা জানান, প্রচণ্ড শীত। ঘন কুয়াশার মধ্যে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হচ্ছে। শীতের কারণে কাজ কামও কমে গেছে। কাজ করলে পেটে ভাত জুটে। পেটের খিধে তো ঠাণ্ডা বুঝে না। এমনিতে আয় রোজগার কম, তার মধ্যে শীতের তীব্রতা। এসব দূর্ভোগের কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। 

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীত জনিত রোগ। গত রোববার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে তালহা নামের এক শিশু ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীত জনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। তবে গতকাল বেলা ১১টার পর দেখা গিয়েছিল সূর্য। তাপমাত্রাও ছিল বেশ। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  মাঘ মাস শুরু   হাড় কাঁপানো শীত   নাকাল জনজীবন   সর্বনিম্ন তাপমাত্রা   তেঁতুলিয়া   পঞ্চগড়  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close