রাজশাহীর উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল (শনিবার) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত পরশু শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয় গতকাল ১৩ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহীতে হিমেল হাওয়ার কারণে ছিন্নমূল বা খেটে খাওয়া হত দরিদ্র মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত নিবারণ করতে অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে রাখতে দেখা যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, প্রতিনিয়ত সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব কাছাকাছি চলে আসায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছিল ৬২ জন। আর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৭২ জন। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বাড়তি ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, উপজেলা পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে আউটডোর রোগীর সংখ্যা বেশি। আর পরিস্থিতি খুব খারাপ, এমনটা না। এ সময়টায় রোগী কিছুটা বাড়ে। সে রকমভাবে ব্যবস্থাপনাও করা আছে।
সময়ের আলো/আরআই