রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনে নির্বাচনের পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, মামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। একইসাথে ওই আসনের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি করেন। এসময় তিনি নৌকার বিজয়ী প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে অরজাকতা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে আমার নেতা-কর্মীসহ আমাকে নৌকার প্রার্থী ও তার পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করে। নির্বাচনের আগ মুহুত্বে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে আবদুল ওয়াদুদ দারার লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে। বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী ও ভোটারদের কেন্দ্রে আসার পথ রুদ্ধ করে।
তিনি আরো বলেন, ''জনগণ প্রকৃত পক্ষে আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করলেও জনগণের বিপক্ষে ফলাফল ঘোষণা করে , আবদুল ওয়াদুদ দারাকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়''
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'সংখ্যালঘু সম্পাদয়ের তন্ময় কুমার নামে একজনকে বেধড়ক মারপিট করে দারার লোকজন।' বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও অনেককে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে আমার কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
তিনি বলেন- দূর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের শফিকুলের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে ও পান বরজ হতে পান লুট করে নেয় । ঝালুকা ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামের মহাতাজ মেম্বার, শফিকুল, আব্দুল মোতালেব, পলাশ, শিমুল, চৌপুকুরিয়াগ্রামের সবাইকে বেধরখ মারপিট করে। বর্তমানে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। দূর্গাপুর উপজেলা ৩নং পানানগর ইউনিয়নের আদম আলী, আলাউদ্দিন, মামুন শাহ পিতা: লছর শাহ, আজাহার চেয়ারম্যান ও কহিদুল নেতৃত্বে নৌকার মিছিল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে জানালা দরজা ভাংচুর করে ও ওহির পিতা: খেরু এর প্রায় তিন বিঘা জমি মহিপাড়া আজিজের নেতৃত্বে দখল করে নেয়।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে নাম উল্লেখ করে বলেন, ৪নং দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নে আশিকুল, আব্দুল মালেক সপ্না মেম্বারের বাড়িতে হামলা করে । ২নং কিসমতগনকৈড় ইউনিয়নের খোকন আলী, মোঃ জুয়েল, আসাদুল, আলিফের নেতৃত্বে তাদেরকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করে এখন পর্যন্ত তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেনাই দূর্গাপুর পৌরসভা শরিফ, আজাহার, রোকন, মজনুর নেতৃত্বে দূর্গাপুর বাজারে মিলু , রেজাউল, সোহাগ, শাকিব, হায়দার, মোস্তাজ ও নিঝুমের নেতৃত্বে দূর্গাপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানে ও বিভিন্ন নেতা কর্মীর নাম ধরে হুমকি প্রদর্শক করে আসছে ।
দূর্গাপুর উপজেলা ৭নং জয়নগর ইউনিয়নে প্রভাষক মোজাম্মেল হকের পেটুয়াবাহিনী হুমকি ধামকি দিচ্ছে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে সেই কারণে আমার কর্মী সমর্থক এলাকার বাইরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অদ্য দূর্গাপুর বাজার থানার সামনে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ বাদল মণ্ডলকে সোহানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হামলা করে জখম করে এবং পৌরসভা যুবলীগের সেক্রেটারীর আবুল বাসারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে তার কর্মচারিদের হাট থেকে বের করে দেন।
এছাড়া দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে আমার কর্মী সমর্থকরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রশাসনকে বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সময়ের আলো/জিকে