প্রকাশ: শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:৪১ পিএম আপডেট: ০৬.০১.২০২৪ ৯:৫৮ পিএম (ভিজিট : ৪৩৩)
বেনাপোল এক্সপ্রেসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ট্রেনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুই অঞ্চল থেকে ৩২টি লোকাল ট্রেনের ২ দিন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি জানান, কিছু লোকাল ট্রেন যেগুলোর দিনের বেলাতে চলাচল কম থাকে এমন পূর্বাঞ্চলের ২০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেন এ দুইদিন চলবে না। লোকাল ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হলেও আন্তঃনগর সব ট্রেন আগের মতোই চলাচল করবে।
মহাপরিচালক বলেন, যাত্রীর মুভমেন্ট কম থাকার কারণে এ ট্রেনগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এ ট্রেনের কর্মচারীরা অন্য ট্রেনগুলোতে কাজ করবে। ইলেকশনের পূর্ব মুহূর্তে লোকোমোটিভগুলো দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা দেখা হবে। পুরো কাজটাই করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য।
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা নাশকতামূলক কার্যক্রম। এটা এখন ফাইনাল বলা যাবে না। যারা নিহত হয়েছেন, তারা তো পুড়ে গেছেন। এটা ডিএনএ ছাড়া সনাক্ত করা সম্ভব না। কমলাপুরে জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসের দুইটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে এবং পাওয়ার কার আংশিক পুড়ে গেছে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়াতে পাঁচ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, রাতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা ট্রেনগুলো ছিল—ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঞাপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ী, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন। এসব ট্রেন এখনও চালু হয়নি।
সময়ের আলো/জিকে