প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:১৯ পিএম (ভিজিট : ৬০৪)
দিনাজপুরে কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ঋতু বৈচিত্র্যের এই খেলা বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছে এ অঞ্চলের মানুষ। তবে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানালো আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সময়ের আলোকে জানান, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় এবং শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকায় মানুষ শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন মানুষ ভিড় জমায়। বেচাকেনাও হয় বেশ। সন্ধ্যার পরও দোকানগুলো থেকে ক্রেতাদেরকে হাতের ও পায়ের মোজা, মাফলার, টুপি, কানটুপি জাতীয় কাপড় কিনতে দেখা যায়।
শীতের কাপড় কিনতে আসা ফাহমিদ, আমিরা, ফাহরিমা রিংকু, ফজিলা বেগমসহ অনেকে সময়ের আলোকে বলেন, বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তাই পরিবার নিয়ে ঠান্ডা নিবারণের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এই সস্তা বাজারে বের হয়েছি।
হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতা ও দোকানদার নেসার আহমেদ সময়ের আলোকে জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত তীব্র শীত অব্যাহত থাকায় বেশ বিক্রি হয়েছে। এই তীব্র শীত আরও কয়েকদিন চলমান থাকলে আমরা ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাবো। সন্ধ্যার পর থেকে বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সময়ের আলো/জেডআই