সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক অর্ডার, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জমি এবং ফ্ল্যাট বিক্রির মাধ্যমে এক দম্পতির বিরুদ্ধে ১৩৯ কোটি টাকা প্রতারণার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধী তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকায় প্রতারণা করে ওই টাকা দিয়ে গ্রামের বাড়িতে আলিশান বাড়ি করেছেন। বাবা, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে কিনেছেন শত বিঘা জমি। সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা শামীম-সালমা দম্পতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ও জেলায় প্রতারণার মামলা পেয়েছে ২৯টি। ওইসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে বর্তমানে তারা লাপাত্তা।
২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ‘শামীমের বাড়ি প্রতারণা’ শিরোনামে সময়ের আলোতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে শামীম ভূঁইয়া ও সালমা ভূঁইয়া দম্পতির বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অর্থ প্রতারণার বিষয়টি আমলে নেয় সিআইডি। দীর্ঘ তদন্তের পর এ দম্পতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৩৯ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। পরে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিআইডির পরিদর্শক মো. আবদুল লতিফ বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলায় শামীম ভূঁইয়া ও সালমা ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত শামীম ভূঁইয়া (৩০) ও তার স্ত্রী সালমা ভূঁইয়া (৫৫) কয়েক দফা গ্রেফতার হলেও প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের এক টাকাও পরিশোধ করেননি। উল্টো পাওনাদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঠুকে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া দলিলে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।
মানি লন্ডারিং মামলার বাদী সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তর টিম-২-এর পরিদর্শক মো. আবদুল লতিফ সময়ের আলোকে বলেন, বাদী ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে শামীম ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী সালমা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ গড়ে তুলেছে। যেসব সম্পদ গড়ে তুলেছে, তার সবই প্রতারণার টাকায়। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তিনি বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত করছেন একই টিমের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
সিআইডি সূত্র জানায়, শামীম ভূঁইয়ার বাবার নাম মো. সৈয়দ ভূঁইয়া ও মায়ের নাম বিলকিস বেগম। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার বুধন্তী গ্রামে। শামীম ভূঁইয়ার নথিপত্রে বাবা ও ভাইদের পেশা কৃষিকাজ উল্লেখ করলেও প্রতারণার টাকায় এলাকায় তাদের নামে রয়েছে একটি আলিশান বাড়ি ও অঢেল সম্পদ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলিশান বাড়িটি জমিসহ নির্মাণ খরচ পড়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়াও শত বিঘা জমি কিনে সেই জমিতে ফসল ও মাছের ঘের করেছেন। ২০১৯ সালে এক ভাই বিদেশ থাকলেও তিন ভাই থাকেন গ্রামে।
ওই সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে শামীম ভূঁইয়া, তার বাবা ও ভাইয়েরা সবাই বেকার ছিলেন। কৃষিকাজ করেই তাদের সংসার চলত। দিন এনে দিনে খাওয়া পরিবারটি হঠাৎ ফুলেফেঁপে যাওয়ায় এলাকায়ও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক শামীমের বাবা ও ভাইয়েরা এখন চলে দামি গাড়ি নিয়ে। তবে তাদের আয়ের উৎস কী তা এখনও গ্রামের মানুষ জানেন না।
সিআইডি সূত্র জানায়, শামীমের বয়স মাত্র ৩০ বছর। ২০১৩ সালে অভাব-অনটনের মধ্যে ঢাকায় আসে সে। এরপর একের পর এক প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর ৫৫ বয়সি নারী সালমা ভূঁইয়াকে বিয়ে করে তাকেও প্রতারণায় সামিল করে। প্রথমে ইসমাইল ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলে। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সরকারি কাজের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডারের জাল নথিপত্র দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। পাশাপাশি আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। ওই প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় কেএস ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠান দুটি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন পশ্চিম মেরুল বাড্ডা এফ-৯/৮ বাড়িতে।
প্রতারক সালমা ভূঁইয়া ঠিকানা ব্যবহার করে দক্ষিণ বনশ্রীর প্রতীক ভেইজি (ডি-১), রোড নম্বর ১২/৪, ব্লক-জে ফ্ল্যাট-সি-৬-৭ (৭ম তলা)। সালমা ভূঁইয়ার পিতার নাম মো. মোখলেছুর রহমান। মা মোসা. জিন্নাত বেগম। অনুসন্ধানে ওই ঠিকানায় যে ফ্ল্যাট দুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর কিছু টাকা পরিশোধ করলেও তার ঠিকানা সম্পূর্ণ ভুয়া। সিআইডি সূত্র জানায়, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইসমাইল ট্রেডার্স ও কেএস ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তা এলাকার ১৪২/৩ রোড নম্বর রোডে ৫ শতাংশ জমির ওপর ৬ তলা পুুরোনো একটি বাড়ি প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে বাড়ির মালিক রাশেদুল ইসলাম ওরফে জুয়েলের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জাল দলিল করে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অথচ এ জমি মর্টগেজ দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৮৭ লাখ টাকা লোন তোলেন জুয়েল। মর্টগেজ করা জমি কতিপয় অসাধু সাব-রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে এনওসি নিয়ে ওই জমির ওপর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লোন নেয় প্রতারক শামীম ভূঁইয়া।
ভুক্তভোগী জুয়েল সময়ের আলোকে বলেন, শামীম মর্টগেজ করা জমি কীভাবে রেজিস্ট্রি করে নিল তা তার বোধগম্য নয়। যে ব্যাংকে জমিটি বন্ধক দিয়ে আমি লোন নিয়েছি সেই একই জমিতে দেড় কোটি টাকা আরেকজনের নামে লোন হয় কীভাবে। শামীমের দলিলটি বাতিলের জন্য আমি আদালতে মামলা করেছি।
সিআইডির মামলায় উল্লেখ করা হয়, শামীম ভূঁইয়ার নামে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের সাড়ে ৮ শতাংশ নাল জমি রয়েছে। জমিটি ক্রয় করে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। ঢাকার সবুজবাগের কলাবাগানে ১০ তলা ভবনের চতুর্থ তলার ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দুটি ফ্ল্যাট কেনে শামীম। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রয় করা ফ্ল্যাট দুটি এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি।
সিআইডি সূত্র জানায়, শামীমের স্ত্রী সালমা ভূঁইয়ার নামে ২০১৩-১৪ থেকে ও ২০২০-২১ সালে কেনা ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট বা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির কোনো তথ্য আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেনি এবং ফ্ল্যাটের মূল্য বাবদ যে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে তা তার আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এ ছাড়াও শামীম ভূঁইয়ার আয়কর নথি পর্যালোচনায় তার নামে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৭-৪৭৯৪ রেজিস্ট্রেশন করা প্রাইভেটকারের তথ্য পাওয়া গেলেও প্রাইভেটকারটি শামীম ভূঁইয়ার নামে রেজিস্ট্রেশন করা নয়। সে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে তা সম্পাদনের জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করে।
শামীম-সালমা দম্পতির উত্থান যেভাবে : সিআইডির তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাদের কোনো জ্ঞাত আয় ছিল না। ছিল না কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। ২০১৮ সালে এসে হঠাৎ বছরে ১৪ লাখ টাকা আয় দেখানো হয়। সম্পদ উল্লেখ করা হয় ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ৯১৮ টাকার। ওই বছরই ব্যাংক থেকে লোন নেয় ৩ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ৩৩৩ টাকা। তার পরের বছর লোন নেয় ১৩ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা ও ২ কোটি ৭৮ লাখ ৬ হাজার ৩৮৬ টাকা।
যেভাবে টাকা নিত শামীম : সিআইডির মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওয়ার্ক অর্ডার (ভুয়া) দেখে ভুক্তভোগী এসএম ফখরুল ইসলাম প্রতারক শামীম ভূঁইয়ার নামে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের রামপুরা শাখায় ১ কোটি ৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় ১ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের প্রগতি সরণি শাখায় ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের মহাখালী শাখায় ২৪ লাখ টাকাসহ ১২ কোটি ৯১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জমা দেয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগী জায়েদুল হাসানের কাছ থেকে ব্যবসায় লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার চেক দিয়ে ৯৪ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে যায়। পরে আর তাকে ব্যবসার লভ্যাংশ দেয়নি শামীম। ভুক্তভোগী মো. ওয়াহিদুজ্জামানের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা ও এসএম রুহুল আমিন রানার কাছ থেকে ৩৫ লাখ ৬০ হাজার এবং ভুক্তভোগী বিবি আয়েশার কাছ থেকে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে।
এ ছাড়াও আরেক ভুক্তভোগী একেএম শিহাব উদ্দিনের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর ওই বছরের ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের প্যাডে প্ল্যানিং ডেভেলপমেন্ট অব ওয়ার্ক ডিরেক্টর মো. সেলিম খানের স্বাক্ষর ও সিল যুক্ত ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৯ হাজার ৫০০টি গাউনের ২ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা, ২৫ হাজারটি ব্যাগের মূল্যবাবদ নগদ ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একইভাবে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনের একটি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আরও ২০ লাখ টাকা নগদ নেয়। দুটি ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ক অর্ডার পেমেন্ট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য পেমেন্টের বিপরীতে পাওয়া আরও ১২ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা চলমান রাখার আশ্বাস দেয় প্রতারক শামীম। বিশ্বাস যোগাতে প্রতারক শামীম ২০২০ সালের ১ মার্চ ভুক্তভোগী একেএম শিহাব উদ্দিনের জগন্নাথের পেমেন্ট হিসাবে ৫০ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। বাকি ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫ হাজার টাকা মার্চের মধ্যে অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলে জানায়। এরপর ৫ মার্চ একেএম শিহাব উদ্দিনকে লোভের ফাঁদে ফেলতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মেট্রোসেম সিমেন্টের বঙ্গবন্ধু ছবি সংবলিত টাই সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ এবং এনজিও রুম টু রিডের ১ কোটি ৮২ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেখিয়ে ফের আরও ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় শামীম।
এভাবেই ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালে জুন পর্যন্ত ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ৯০টি ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা একেএম শিহাব উদ্দিনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে যায় শামীম।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা সময়ের আলোকে বলেন, মামলায় যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তার ওপরই তিনি তদন্ত করছেন। এখনও মামলাটির তদন্ত চলমান। তিনি বলেন, শামীম ও সালমা দম্পতি ভয়ংকর প্রতারক। প্রতারণা মামলার বাদীরা এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। মামলাটি আরও তদন্ত প্রয়োজন। কারণ প্রতারক শামীমের বিরুদ্ধে আরও অনেক অবৈধ সম্পদ ও লেনদেনের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
মামলার তদারক কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। প্রতারক শামীম ও তার স্ত্রীর আরও কোনো অবৈধ সম্পদ ও অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন রয়েছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই মামলাটির তদন্ত শেষ হবে।
সময়ের আলো/জেডআই