ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৩শ কোটির প্রকল্প
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩, ৩:১০ এএম  (ভিজিট : ৫৯৫)
বাগেরহাট ও নেত্রকোনা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে পৃথক দুটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এতে  মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৩০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর সংরক্ষণ, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ করা হবে। 

প্রকল্প দুটি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ‘বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। অপরদিকে ‘নেত্রকোনা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। আর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। দুটি প্রকল্পই বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন : প্রকল্পের আওতায়, বাগেরহাট জেলার সাড়ে ৭ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ ও ৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার চর অপসারণের জন্য ড্রেজিং করা হবে। এ প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে,  কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে বাগেরহাট জেলার অনেক সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জেলার মোট ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ উপজেলা সড়ক, ৯১ শতাংশ ইউনিয়ন সড়ক এবং ৩৪ শতাংশ গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ সম্পন্ন হবে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে এবং প্রকল্প এলাকায় কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমে যাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। 

প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধ এবং বন্যার হাত থেকে স্থানীয় জনগণকে রক্ষা করা। নদী ড্রেজিং দ্বারা নদীর প্রবাহ/নাব্যতা স্বাভাবিক রাখা। ফরিদপুর জেলাধীন মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৮টি প্রবল নদী ভাঙনকবলিত স্থানে বিদ্যমান সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, বিদ্যালয়, হাটবাজার, রাস্তা, ব্রিজ, ফসলি ও বাসযোগ্য জমি, কমিউনিটি ক্লিনিক, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙন হতে রক্ষা করা এবং আনুমানিক ২ হাজার ৭৭২ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি রক্ষা করা।

এ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার সদর,  চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট, কচুয়া, রামপাল মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার উন্নয়নে কাজ করা হবে।

নেত্রকোনা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন : প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, আটপাড়া, নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ, পূর্বধলা ও খালিয়াজুরি উপজেলায় ১৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক উন্নয়ন (বিসি) করা হবে। ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন (আরসিসি) করা হবে ১২৪ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। গ্রাম সড়ক উন্নয়ন করা হবে (বিসি) ৪৭৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। গ্রামের সড়ক উন্নয়ন (বিসি) করা হবে ১৭ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। ৬৭ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সাবমার্সিবল আরসিসি সড়ক উন্নয়ন করা হবে।  ২০৩৩ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে, ৮০৭ মিটার বক্স কালভার্ট এবং ৫ হাজার বর্গফুট অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। 

প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলার সব উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে এবং প্রকল্প এলাকায় কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। 

প্রকল্পের উদ্দেশ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলায় বিদ্যমান কাঁচা সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি/অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন। গ্রামীণ জনগণের জন্য গ্রাম, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং শহরের সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারণ। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

এই দুই প্রকল্প ছাড়াও আজ একনেকে আরও ১৫টি প্রকল্প উত্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close