প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:০২ পিএম আপডেট: ২৯.০৯.২০২২ ৫:৫৮ পিএম (ভিজিট : ১৪৪)
পাকিস্তানি কূটনীতিক ইসরার হুসেইন আগে থেকেই মানবপাচারকারীর মূলহোতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এবার তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি নাগরিকদের ঘুষ নিয়ে ইউরোপে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ভিসার দায়িত্বে থাকা এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা।
ইসরার হুসেইন এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপ বিষয়ক সহকারী সচিবের দায়িত্বপালন করেছেন। নিয়োজিত ছিলেন প্রাগের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও।
সাম্প্রতিক এই অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানি কূটনীতিকরা কি ইউরোপে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করছে কি না। কারণ পাকিস্তানি কর্মকর্তারা অনেকদিন ধরেই এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং এটাই প্রথম অভিযোগ নয়।
দিফেসা অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ২০২০ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ডমিনিক ব্লাইড পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরির চক্রের অভিযোগ এনেছিল। ২০২১২ সালে পাকিস্তানে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যাডাম থম্পসন বলেছিলেন, ‘ভিসা জালিয়াতিতে পাকিস্তান বিশ্বনেতা’।
২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক ভুয়া নথিপত্র দিয়ে পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
হুসেইনের বিরুদ্ধে ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্পেনের মতো ইউরোপীয় দেশে অবৈধভাবে ভিসা দেওয়া অভিযোগ রয়েছে। ভিসা জালিয়াতি ছাড়াও ইউরোপে মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতাও তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রাগে প্রবেশ ও থাকা নিশ্চিতের জন্য পাকিস্তানি শিল্পীদের কাছ থেকে ১৫ লাখ রুপি ঘুষ নিয়েছে। ঘুষ নিয়ে তাদের কাজ করে না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানে নিযুক্ত এক চেক রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতে হুসেইনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার এক সহকর্মীই এখন তার তদন্তের দায়িত্বে থাকছেন।
২০২০ সালের মে মাসে বসনিয়ান স্টেট অ্যাটর্নি অফিস থেকে প্রায় ৩ হাজার পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। বসনিয়ান সীমান্ত পুলিশ এর তদন্তের সময় জানায়, তাদের সন্দেহ যেপাকিস্তানিরা এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে বসনিয়াকে ব্যবহার করছে। এখান থেকেই ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে যাবে তারা।