ই-পেপার বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিষাক্ত রাসেল ভাইপার নদীতে ছেড়ে দেওয়ায় আতঙ্কে এলাকাবাসী
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩২ পিএম  (ভিজিট : ১৯০)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে জেলের জালে আটকা পড়া রাসেল ভাইপার সাপটি গড়াই নদে অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নিচে গড়াই নদে অবমুক্ত করেন সাপটি।

এদিকে গড়াই নদে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপটি অবমুক্ত করায় আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, ‘নদীর পারে হাজারো মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে নদ ব্যবহার করেন; কিন্তু এখানে এত ভয়ংকর সাপটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।’

সাপ অবমুক্ত করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ারি জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে। সকালে খবর পেয়ে বিলুপ্তপ্রায় এই সাপটি জব্দ করা হয় এবং গড়াই ব্রিজের নিচে সাপটি অবমুক্ত করা হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই বিষাক্ত। সাপটি বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। দেশে সেসব সাপ দেখা যায়, তাদের মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপের কামড়ে শরীরের দংশ অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ুবৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘পদ্মা থেকে এনে গড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হলো; বরং গড়াই পদ্মার চেয়ে বেশি লোকালয়। এটা দায়সারা কাজ হয়েছে। অনেক দুরে কোথাও ফাঁকা স্থানে অবমুক্ত করা দরকার ছিল।’

এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়নের জেলে মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই দোয়াড়ে জাল পেতে পদ্মায় মাছ ধরি। সকালে জাল তুলে দেখি একটি অন্যরকম সাপ, যা আগে কখনো দেখিনি। প্রথমে অজগর মনে করেছিলাম। পরে বন বিভাগের লোক এসে সাপটি নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। জব্দ করার পর গড়াই নদে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদ বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।’

কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বন বিভাগের। তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close