প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২, ৭:৪৩ পিএম (ভিজিট : ২১০)
বিশ্ব বাজারে কয়েক মাস ধরে অপরিশোধিত তেলের দরপতনের পর গত ১ সপ্তাহ ধরে তেলের দর ঊর্ধমূখী হয়েছে। অবশ্য শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আবারও কমেছে তেলের দাম। টানা এক সপ্তাহ মূল্য বাড়ার পর জ্বালানি তেলের মূল্য কমলেও বাজারে অস্থিরতার চিত্র বেশ স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখার সময় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটরি (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ৯৪ দশমিক ৭২ মার্কিন ডলারে বিক্রি হচ্ছিল। যা বুধবারের তুলনায় দশমিক ১৭ ডলার বা দশমিক ১৮ শতাংশ কম। তবে গত মঙ্গলবার ডব্লিউটিআই জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ৮৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে নেমে যায়, যা চলতি বছরের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন দাম।
অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে ইউরোপভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১শ ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৯২ দশমিক ১২ ডলারে নেমে যায়। এটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বনিম্ন দাম।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৩ সালে অপরিশোধিত তেলের দাম ১১০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চীনের অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুদিন ধরে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস ধরেই অপরিশোধিত তেলের দরপতনের সুবাদে গ্যাসোলিন তথা পরিশোধিত তেলের, অর্থাৎ পেট্রলের দাম কমছে। দেশটিতে পেট্রলের গ্যালনপ্রতি গড় দাম কমে এখন ৩ দশমিক ৯৫ ডলারে নেমেছে। গত মাসে মার্কিন গ্যাসোলিনের দাম ৬০ সেন্ট কমেছে। তবে তা এখনো গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৬ সেন্ট বেশি।
বিশ্বে জ্বালানি তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবহারকারী চীনের প্রকাশিত অর্থনৈতিক তথ্য–উপাত্ত ভালো না হওয়ায় এবং ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের ইস্যুকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কমলেও আবারো ঊর্ধমূখী প্রবণতায় ফিরেছে তেলের দাম।