প্রকাশ: শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২, ৩:৫০ পিএম (ভিজিট : ৫৮৯)
কিছু ফল আছে যেগুলোর খুব একটা পরিচিতি না থাকলেও তাদের রয়েছে অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ। তেমন একটি ফল ডেউয়া। অঞ্চলভেদে এই এবড়োখেবড়ো ফল মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত। ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল, ঢেউফল ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের আঁধার বলা হয় ডেউয়া ফলকে। এগুলো ছাড়াও ডেউয়া ফলে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডেউয়া ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে- খনিজ ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ০.৭ গ্রাম, শর্করা ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ১ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম। চলুন এবার জেনে নিই ডেউয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-
ওজন কমাতে সাহায্য করে ডেউয়া। ঠান্ডা পানিতে ডেউয়া ফলের রস মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এমনকি ডেউয়া ফল রোদে শুকিয়ে নিয়ে অফ সিজনেও খাওয়া যায়।
পেট পরিষ্কার না থাকলে সারা দিন কাটে অস্বস্তিতে। পেটের গণ্ডগোল থেকে রেহাই পেতে সকালে খালি পেটে খান কাঁচা ডেউয়া। এ জন্য গরম পানির সঙ্গে কাঁচা ডেউয়া বাটা মিশিয়ে নেবেন।
ডেউয়াতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
অত্যাধিক তৃষ্ণা নিবারণে কাজ করে টকজাতীয় এই ফল।
মরিচ, লবণ, চিনি দিয়ে ডেউয়ার ভর্তা খেলে সানস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে মসৃণ ভাব ফিরিয়ে আনে। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে ডেউয়া গাছের ছালের গুঁড়া অনেক উপকারী এবং এই গুঁড়া ব্রণের দূষিত পুঁজ বের করে দেয়।