ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জবাব দিয়েছি প্রমাণ করেছি বাংলাদেশও পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২, ২:১৩ এএম  (ভিজিট : ২৬২)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সেতুটি এখন প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আজ পদ্মার বুকে জ¦লে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। আমরা জবাব দিয়েছি প্রমাণ করেছি বাংলাদেশও পারে। শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। সে সঙ্গে আমিও আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সমর্থ হয়েছি। এই সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এই সেতু দুই পাড়ের বন্ধনই শুধু নয়, এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহা-কংক্রিটের অবকাঠামো নয়, এই সেতু অহঙ্কার, গর্ব, সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এই সেতুর সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের জড়িয়ে রয়েছে আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা, প্রত্যয় ও জেদ। যদিও ষড়যন্ত্রের কারণে এই সেতুর নির্মাণ দুবছর বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু কখনও হতোদ্যম হইনি, হতাশায় ভুগিনি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছি। সব অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি।

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সেই অমোঘ মন্ত্র ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, আমরা বিজয়ী হয়েছি। তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় তিনি বলেন, ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ¦লে পুড়ে-মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা কোনোদিন মাথা নোয়াব না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও কখনও মাথা নোয়াননি। তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের গুণগতমান নিয়ে কোনো আপস করিনি। এতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উপকরণ ও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশে^ গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন দেশের প্রকৌশলীরা। ভবিষ্যতে নিজেরাই এ ধরনের জটিল সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ করতে সক্ষম হব আমরা।

তিনি বলেন, সেতু নির্মাণ যেমন কঠিন ছিল, তেমনি আঁকাবাঁকা, খরস্রোতা উন্মত্ত পদ্মা নদীকে শাসনে রাখাটাও একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করে নদীর দুই পাড়কে সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করেছে সরকার। তাদের আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সহায়তা, ভিটা উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় বনায়ন কর্মসূচির পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের ইতিহাস ও নমুনা সংরক্ষণের জন্য জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং ঢাকায় মেট্রোরেল। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন শুরু হবে। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও ২০২৩ নাগাদ চালু হবে। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে চক্রান্তকারীদের মিথ্যা ষড়যন্ত্রের কারণে আমার পরিবারের সদস্য ছোট বোন শেখ রেহানা, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ, রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সেতু নির্মাণকাজে জড়িত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীসহ যারা প্রয়াত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত ও আত্মার শান্তি কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা। এই জনগণকে আমি স্যালুট জানাই।

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে আশা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, তাদের হয়তো চিন্তা-চেতনার দৈনতা রয়েছে। আত্মবিশ^াসের অভাব রয়েছে। আগামীতে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে এবং দেশের মানুষের প্রতি তারা আরও দায়িত্বশীল হবেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, উপপরিচালক কামরুজ্জামান, প্রজেক্ট ম্যানেজার অ্যান্ড সুপারভিশন কনসালট্যান্ট রবার্ট জন এভিসসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সঙ্গে অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পকলা একাডেমি নির্মিত দেশের বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে থিমসং পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। পরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকারক কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি পদ্মা সেতুর রেপ্লিকাও উপহার দেওয়া হয়। নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ফটোসেশনেও অংশ নেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় ফলক ও মুর্যাল উন্মোচন করে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতির ভাষণ রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন বলেই জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে সমর্থ হয়েছি। প্রয়োজনে দেশের উন্নয়নে জীবন দিয়ে হলেও কাজ করে যাব।

দেশের জ্ঞানী-গুণীরা বলেছিলেন ‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়’ এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের টাকায় কীভাবে পদ্মা সেতু করতে পারলাম, এর কারণ জনগণের শক্তি। জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি সেটাতেই বিশ^াস করেছি। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যাতে উন্নত জীবন পায় সে ব্যবস্থাও আমি করব। আপনাদের কাছে এটাই আমার ওয়াদা। মা-বাবা, ভাই সব হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মধ্যেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ, আপনাদের পাশেই আছি, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনে যেকোনো ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত।

খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের বক্তব্য, আওয়ামী লীগ কোনোদিনও পদ্মা সেতু করতে পারবে নাÑ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে বলছি আসুন, দেখে যান পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কি না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ২০০১ সালে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও খালেদা জিয়া সরকারে এসে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। যখন ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে বয়সের কারণে চলে যেতে হলো, তখন তিনি আমেরিকায় গিয়ে তদবির করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিলেন। বলা হলো, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু কে দুর্নীতি করেছে। যে সেতু আমাদের প্রাণের সেতু, এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য জড়িত, এই সেতু নির্মাণে কেন দুর্নীতি হবে? বিশ^ব্যাংক টাকা দেয়নি। দুর্নীতি-ষড়যন্ত্র বলে টাকা বন্ধ করল। কিন্তু পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের পর আমার উদ্যোগে জনগণ ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসে। এতে শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন আর কাউকে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান বা আপনজনকে হারাতে হবে না। আপনারা সেখানে নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সে ব্যবস্থাই করে দিয়েছি। আর যারা এই সেতু নির্মাণে বাধার সৃষ্টি করেছিল তাদেরকে পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে উপযুক্ত একটা জবাব আমরা দিতে পেরেছি।

পঁচাত্তরে মা-বাবা, ভাইদের হারানোর পর ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর একরকম জোর করেই নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরে এসেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিঃস্ব, রিক্ত হয়ে ফিরে এসেছিলেন এই বাংলাদেশে। সমগ্র বাংলাদেশ তখন ঘুরে বেরিয়েছি। সে সময় শরীয়তপুরে আসার পর লঞ্চ নষ্ট হয়ে গেল। নৌকায় করে প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেরিয়েছি। কাদা-পানিতে নেমেছি, মিটিং করেছি। আজকে শরীয়তপুরের চেহারা পাল্টে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ করেছে। ওই সময় মাদারীপুরও লঞ্চে যেতে হতো এবং গোপালগঞ্জ যেতে ঢাকা থেকে ২২ ঘণ্টা সময় লাগত। এসব এলাকা অত্যন্ত দুর্গম ছিল। এসব এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ সরকার শিকারপুর-দোয়ারিকা এবং গাবখান সেতু করে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছে।

সরকারের বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটে বন্যা হচ্ছে। সেখানে আমরা ত্রাণ পাঠিয়েছি। এখন বর্ষাকাল। এখানেও বন্যা হতে পারে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনারাও প্রস্তুতি নেবেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ রাখে।

এই রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে কষ্ট করে জনসভাস্থলে আসায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার উদ্দেশে কবির ভাষায় বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেনÑ ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছুই নেই/ আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সঞ্চালনায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

/এমএইচ/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close