প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম (ভিজিট : ২৮০)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিল করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ আইন বাতিলের বিরোধিতা করেছেন। আদালতের এ সিদ্ধান্তকে তিনি ‘নিষ্ঠুর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ রায়ের পরে হোয়াইট হাউসে ভাষণ দেন বাইডেন। ভাষনে তিনি বলেন, নারীদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আজকের দিনটি আমাদের ইতিহাসের একটি দুঃখের দিন। আদালত মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য বাইডেন অধিকারকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন প্রতিবাদ যেন হয় শান্তিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আদালতের এ রায় নিষ্ঠুর। এর ফলে এখন মার্কিন নারী ও তরুণীদের যদি কেউ ধর্ষণ করে তবে তারা ধর্ষকদের সন্তানও জন্ম দিতে বাধ্য হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এর গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিলের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, নারীদের মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এটিকে নারীদের ‘অপরিহার্য স্বাধীনতা’ হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৪ জুন) ‘রো বনাম ওয়েড’ মামলার গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে দেশটির নারীরা আর গর্ভপাতের আইনি অধিকার পাবেন না। দেশটিতে ৫০ বছর আগে একটি রায়ে গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ আগেই গুঞ্জন ওঠে এ রায় সর্বোচ্চ আদালত পাল্টে দেওয়ার চিন্তা করছে। তখন থেকেই দেশটিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি অনুমোদন ও সিদ্ধান্তের ক্ষমতা প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। এ রায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হতে পারে। এর মধ্যে ১৩টি অঙ্গরাজ্য আইন পাস করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতবিষয়ক একটি আইন পাস হয়। আইনে গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহ পর থেকে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়। তখন নারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে। বাধ্য হয়ে দেশটির আদালত গর্ভপাত বিরোধী আইন সাময়িকভাবে বাতিল করে।
আরএস/