নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে নূরুল করীম আকরাম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতাসীন সরকারের সফলতার আষাঢ়ে গল্প যে অন্তঃসারশূন্য তা করোনা থেকে বন্যা সকল দুর্যোগেই প্রমাণিত হয়েছে। দুই দফা বন্যায় ভোগান্তির শিকার সুনামগঞ্জ ও সিলেটে বন্যার পূর্বাভাস থাকলেও একদিনের বাড়তি পানিতে ভেসে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, চিকিৎসা সেবাসহ সবধরনের যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র খাদ্য সংকট, উদ্ধার তৎপরতায় দেরি হওয়া ও সকল সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার এমন চিত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় চরম ব্যর্থতা প্রমাণ করে। তিনি আরও বলেন, নদীপ্রবাহের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনপ্রবাহ জড়িত। ভারত আন্তর্জাতিক নদীর সকল নিয়ম-কানুন লংঘন করে একতরফাভাবে উজানে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকায় শিকল পড়িয়ে রেখেছে। আগ্রাসী নীতিতে ইচ্ছা ও প্রয়োজন হলেই ভারত সেই শিকল খুলে নিজেদের স্বার্থে খরার সময় মরুভূমি আর বর্ষার সময় পানির নীচে ডুবিয়ে মারছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের ভারতপ্রীতি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে নানা সংকটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে জনগণ। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে একটি জাতি আত্মনির্ভরশীল হতে পারে না। বাংলার ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব রক্ষার্থে ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল-আমিন সিদ্দিকী, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমানসহ মহানগর ও ঢাকাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নেতৃবৃন্দ। /আরএ
|