মোংলা থানার সেই তক্ষক সুন্দরবনে অবমুক্ত
মোংলা প্রতিনিধি
|
![]() মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, থানা ভবনের ৫ম তলায় ইন্সপেক্টর সুজিত তার রুমের মধ্যে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে আসবাবপত্র ও কাগজপত্র নড়াচড়ার শব্দ পান। এরপর তিনি বিছানা থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে রুমের মধ্যে একটি তক্ষক দেখে ভয় পেয়ে যান। তখন তিনি থানা ভবনের অন্যান্য স্টাফদের বিষয়টি জানালে তারা এসে তক্ষকটি একটি বস্তায় ভরে আটকে রাখেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ওই তক্ষকটি এদিন দুপরে বনবিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবিরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি বন কর্মকর্তা আজাদ কবির পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে বিকেলেই বনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করে দেন। আজাদ কবির বলেন, তক্ষকটি লম্বায় ৭ ইঞ্চি, ওজন ৬০ গ্রাম আর বয়স ২ বছরের মত। তিনি আরও বলেন, গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতির তক্ষক এটি। এর পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর হয়ে থাকে। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলো পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কম বয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ়-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। /আরএ
|