হাওরের ‘অলওয়েদার সড়ক’ নিয়ে মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
|
![]() বুধবার সকালে অলওয়েদার সড়কের অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্ট থেকে ভাতশলা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১১টা থেকে এক ঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধনে এলাকার রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু, অষ্টগ্রাম রোটারি কলেজের অধ্যাপক নাসিমা রীতাসহ ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এ সময় বক্তারা বলেন, হাওরের এক সময় অবহেলিত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সারা বছর চলাচল উপযোগী রাস্তা করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় নির্মিত এ সড়কটি হাওরবাসীর কাছে স্বপ্নের সড়ক। এ রাস্তাটি অবহেলিত হাওরবাসীর ভাগ্য খুলে দিয়েছে। তারা বলেন, দীর্ঘ দিন গবেষণার পর হাওরের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে এ সড়ক নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার পর একটি মহল এ রাস্তার জন্য সুনামগঞ্জে বন্যা হয়েছে এবং পানি নামতে পারছে না বলে লাগাতার মিথ্যাচার করছে। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে, এ সড়কটি স্রোতের অনুকূলে উত্তর-দক্ষিণে করা হয়েছে। অষ্টগ্রাম থেকে মিঠামইন হয়ে ইটনা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কে বর্ষায় সহজে পানি বের হওয়ার জন্য ৫৯০.৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩টি পিসি গার্ডার ব্রিজ, ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৬২টি আরসিসি বক্স কালভার্ট ও ২৬৯.৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ১১টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। তাই এ সেতুর জন্য পানি নামতে পারছে না বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা সত্য নয়। অবিলম্বে হাওরবাসীর স্বপ্নের সড়ক নিয়ে এ ধরনের প্রচার বন্ধের দাবি জানান তারা। প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে সারা বছর চলাচল উপযোগী এ পাকা সড়কটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ‘অলওয়েদার সড়ক’ নামে পরিচিত এ সড়কটি ২০২০ সালরে ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। /জেডও
|