ফেনসিডিল কমলেও বেড়েছে ইয়াবা-আইস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মানোন্নয়নের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় বলেন, আমরা তিনটি উপায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেগুলো হলো- মাদকের চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও হার্ম রিডাকশন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সঙ্গে ফেনসিডিল সম্পর্কে অনেকবার আলাপ হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল উৎপাদন বন্ধের জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, ফেনসিডিল সরবরাহ কমেছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর মাদক বেড়েছে সেটা হলো ইয়াবা। এর সঙ্গে আইস সংযুক্ত হয়েছে, যেটা আরও ভয়ঙ্কর। এগুলো আমাদের যুব সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তের অনেক এলাকা খুবই দুর্গম। যেখানে হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সে কারণে আমাদের সীমান্ত এলাকার অনেকটা এলাকা এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে। ফলে বিভিন্নভাবে সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে মাদক আসতে না পারে। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, বর্তমানে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ। তবে তথ্যের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক যেটা বলেছেন, আমি মনে করি তার চেয়ে অনেক বেশি। উনি বলেছেন, ৩৬ লাখের কথা। আমাদের কারাগারে বন্দি ৬০ শতাংশ মাদক চোরাকারবারি বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ঢাকা বিভাগে আসক্তের সংখ্যা বেশি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগের বেশি কর্মক্ষম পুরুষ। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ যুবক। সেই জায়গায় আমরা যদি মাদকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে ২০৪১ সালে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি উন্নত বাংলাদেশের সেখানেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো। বর্তমানে ৩৬২ নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলো মানসম্পন্ন নয়। আমাদের এক পুলিশ সদস্যও নিরাময় কেন্দ্রে মারা গেছেন। এই জায়গায় আমাদের আরও এগোতে হবে। কারণ আমরা এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে বসে থাকলে চলবে না, সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। পাশাপাশি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এফএইচ |