১২ বছর পর উদ্ধার, জানা গেলো হারিয়ে যাওয়ার কারণ
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে পিবিআই- এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। জানা যায়, ২০১০ সালে সুমন বাসা থেকে তার কর্মস্থল ডায়মন্ড প্যাকেজিং গার্মেন্টসের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরবর্তীতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। এ সময় তার নম্বরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মো. মোজাফ্ফর তার ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে পল্লবী থানায় একটি অপহরণ মামলাও দায়ের করেন। উদ্ধারের পর সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই জানতে পারে, তিনি শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুরে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি ডায়মন্ড প্যাকেজিং এ হেলপার হিসাবে কাজ করেন। ঘটনার দিন মিরপুর-১১ নম্বর বাজার এলাকার চার রাস্তার মোড়ে ৩ তাসের জুয়া খেলায় ১০০ টাকা ধরে হেরে যায়। তার কাছে টাকা না থাকায় তার কাছ থেকে জোরপূর্বক তার মোবাইল ফোন জুয়ারিরা রেখে দেন। মোবাইলের বিষয়ে বাবার কাছে সে কি বলবে- ভয়ে সে মিরপুর থেকে গুলিস্তানে চলে যায়। সারাদিন গুলিস্তানে ঘোরাফেরা করে। রাতেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে। পরদিন সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুয়ে থাকে। সেখান থেকে এক লোক তাকে শাহবাগ ফুল মার্কেটে নিয়ে নাস্তা খাওয়ায়। পরবর্তীতে টিপু নামে এক লোক তাকে শাহবাগ এলাকার একটি হোটেলে শুধু থাকা ও খাওয়ার শর্তে কাজ দেয়। সুমন আরও জানান, ওই হোটেলের বাবুর্চি হারুনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয় এবং তার সঙ্গে সুমন ভোলার লালমোহন থানার মঙ্গল শিকদার এলাকায় একাধিক বার যায়। এরপর শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন চটপটির দোকানে কাজ, পপকর্ণ বিক্রি, বাসের হেলপার, রুমা অ্যাকুরিয়াম সেন্টার, পপুলার অ্যাকুরিয়াম সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। এরই মধ্যে নান্নু ওস্তাদ নামে এক ড্রাইভারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তার সঙ্গে সে হেলপারি করে। ইউসুফ টেকনিক্যাল স্কুল ও বারডেম হাসপাতালের যাত্রী আনা-নেওয়া করতো। ইউসুফ স্কুলের জোনাকী নামের একটি মেয়ের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তাদের বাসায় যেত। একপযার্য়ে জোনাকীর মা জোসনার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। জোসনার স্বামী বকুল মোল্লা তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলে ভিকটিম সুমন প্রায় ৩ বছর পূর্বে লালবাগ কাজী অফিসে জোসনাকে বিয়ে করে। এর মধ্যে তার একটি ছেলে হয়, নাম—হাবিবুল্লাহ (৩ মাস)। উদ্ধারের পূর্ব পর্যন্ত সুমন তার স্ত্রী জোসনার সঙ্গে রায়েরবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে আসছিল। /আরএ
|