ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট: ম্যানচেস্টারে স্টপওভার নিয়ে অনিশ্চয়তা
রফিক রাফি
|
![]() বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরে কথা হয় সময়ের আলোর। আলাপকালে ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট, ম্যানচেস্টারে স্টপওভার, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে অব্যবস্থাপনা, লাগেজ পেতে দেরি, হজ ফ্লাইট বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ঢাকা-টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের সিইও বলেন, আমরা এখনও ২৮ জুন ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। খুব দ্রুতই জানতে পারবেন কবে থেকে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। ফিফথ ফ্রিডমের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এখনও ইতিবাচক সাড়া পাইনি। আলোচনার পর্যায়ে আছে। জিএসই নিয়োগের অগ্রগতির বিষয়ে বিমানের এমডি বলেন, এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। যে বিধিবিধান আছে আমরা সেটা অনুসরণ করছি। সময় উত্তীর্ণ হলে, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, দিতে সম্ভব হব। ম্যানচেস্টারে স্টপওভারের বিষয়ে ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, ম্যানচেস্টার ছিল, কিন্তু ম্যানচেস্টার টাইম টু টাইম নানা বিষয়ের অবতারণা করছে। ফলে বিষয়টি আবারও রিচেক করা হচ্ছে। এগুলো ফাইনাল হলে আমরা অগ্রসর হব। এর বাইরে ইস্তানবুল আছে, আরেকটা দেশ আছে, সেটা নিয়ে কাজ চলছে। দুয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি ফাইনাল করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। কোভিডকালীন যখন বিভিন্ন এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেছে সেই সময়েও আমরা প্রায় ৮০ কোটি টাকা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ইনভেস্ট করেছি। সম্প্রতি আরও ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির হিসাব করলে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ফলটা পেতে দেরি হচ্ছে, কারণ যেসব যন্ত্রপাতি আমাদের দরকার, লোয়ার উইংয়ে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, করোনার সময় সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ ছিল। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি উৎপাদিত অবস্থায় থাকলেও পরিবহন বন্ধ ছিল। সে চ্যানেলগুলো এখন মুক্ত হয়েছে। এখন যন্ত্রপাতি আসছে। শাহজালালে প্রতিদিন বেল্ট থেকে লাগেজ পেতে দেরি হচ্ছে, থার্ড টার্মিনাল হওয়ার আগে কি এই সঙ্কট নিরসন হবে- জানতে চাইলে বিমানের এমডি বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। একটা ফ্লাইট আসার পর সেই ফ্লাইটের মালামাল যাত্রীদের হাতে পৌঁছানোর আগেই আরও দুটো ফ্লাইট চলে আসছে। এখন একটা ফ্লাইটের লাগেজ শেষ হওয়ার আগে অন্য ফ্লাইটের লাগেজ বেল্টে দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য দেরি হয়। ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট চালালে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন হবে কি না জানতে চাইলে আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, হজযাত্রী পরিবহনের জন্য যতগুলো স্লট পেয়েছি, সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুত আছি। ৬৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট নির্ধারিত আছে। হজ ফ্লাইট চালাতে গিয়ে কিছু কিছু রুটে ফ্লাইট কমাতে হবে। যে রুটগুলোতে যাত্রী কম বা টিকেট কম বিক্রি হয়েছে, এসব দেখে সেসব রুটের ফ্লাইট কিছুটা কমানো হবে। কিছু রুট চেঞ্জ করা হবে। নইলে নিজস্ব ফ্লাইট দিয়ে এত হজযাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে না। হজ ফ্লাইট চালানোর জন্য লিজে কোনো বিমান আনা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। /জেডও
|