দখলে নাব্যতা হারাচ্ছে গহিনখালী খাল
সাইফুল ইসলাম সায়েম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
|
![]() স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নৌপথে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র মাধ্যম রাঙ্গাবালী সদর ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে এই খালটি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যার গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষমতাবান লোকদের পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে দখল হচ্ছে খালের দুই পাড়। দখলের এক পর্যায়ে খালটি এখন নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়দের দাবি, সরকারি নির্দেশা অনুযায়ী নাব্যতা সঙ্কটের হাত থেকে খাল রক্ষা করতে হবে। সরেজমিন দেখা যায়, খালের দক্ষিণপাড়ে বাহেরচর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালের দুই পাশে ইট-বালু ফেলে তীর ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ কারণেই মূলত খাল তার নাব্যতা হারাচ্ছে। খাল দখলকারী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাহেরচর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্বাস হাওলাদার, অহিদ মল্লিক, মো. জহির মৃধা (ওয়ার্কশপ জহির), মোসা. নিপা বেগম, মো. সোহরাব হেকিম, মো. আলম খান, মো. দাদন মৃধাসহ আরও অনেকে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণের জন্য ভূমি অফিস বেছে নিয়েছে এই খালের তীর। সব মিলিয়ে খালের নাব্যতা সঙ্কট আরও চূড়ান্ত রূপ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, খাস জলাশয়ের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। পানি সংক্রান্ত ব্যাপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে। জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বললে জেলা প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, এই খালটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু জায়গা রয়েছে ও কিছু খাসজমি রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। উচ্ছেদে আমরা শিগগিরই পদক্ষেপ নেব। /জেডও
|