ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়
১৩ মাসে ১৩ দিনও স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক
আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি
|
![]() গত ২০ এপ্রিল স্কুল বন্ধ হবার দিনেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। শুধু তাই নয়, গত ৯ মে স্কুল খোলার পর থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তিনি স্কুলে আসেননি। স্কুলের একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার সময় দায়িত্বেও কেউ থাকেন না। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলে পাঠদান প্রক্রিয়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে বলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, বছর শুরু হবার ৫ মাস পার হয়ে গেলেও স্কুলে এখন পর্যন্ত কোনও ক্লাস রুটিন করা হয়নি। স্কুলে নতুন শিক্ষক যোগদান করলেও শিক্ষকদের মাঝে ক্লাস বণ্টন করা হয়নি। যার কারণে শিক্ষকরা স্কুলে এসে বসে থেকে আবার চলে যান। সবমিলিয়ে ঝালকাঠির গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সুধীজনরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, যোগদান করার পর থেকে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা আরজু ১৫ দিনও স্কুলে আসেননি। এ বিষয় জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা আরজুর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি পরিচয় জেনে বলেন, মুঠোফোনে কথা বললে রেকর্ড হয়, তাই আমি এ বিষয়ে ফোনে কথা বলব না। স্কুলে আসলে তখন সরাসরি কথা বলব। স্কুল পরিচালনা কামটির সভাপতি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। বিনা ছুটিতে যদি তিনি এভাবে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তার চাকরি থাকার কথা নয়। এখন বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে জানব। /জেডও |