নজরুলের রসিকতা
অনন্যা অন্বয়ী
|
![]() শনিবারের চিঠির সজনীকান্ত দাসকে তিনি বলতেন, ‘সজনে ঘণ্ট খাস’। মোহাম্মদী ও সওগাতের দ্বন্দ্ব যখন চরমে, নজরুলকে মোহাম্মদী যখন ‘আজাজিল’ আখ্যা দেয়, তখন নজরুল আকরম খাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘বাগরম খাঁ’। মোহম্মদ ওয়াজেদ আলীকে তিনি ডাকতেন ‘বুড়ো’ বলে। কারণ তিনি যুবক হয়েও বুড়োদের মতো যুক্তি-তর্ক ছাড়া কথা বলতেন না। বিজলী ধর নামে কবির এক ভক্ত অটোগ্রাফ নিতে এলে তিনি লিখে দিলেন ‘বি-জলি’। ইব-লড়ষষু, অর্থাৎ হাসিখুশির মধ্যে থাকো! কবি নজরুল ইসলামের এক বন্ধু ছিলেন, নাম শৈলেন। পকেটে টাকা-পয়সা না থাকলে কবি তার কাছ বাকিতে চা খেতেন। একদিন তিনি শৈলেনের কাছে গিয়ে বললেন, তুমি তো অনেক টাকা পাবে আমার কাছে, হিসেব করে রেখো, আপাতত দু পেয়ালা চা দাও। শৈলেন তো অবাক! এ আবার কেমন কথা! অনেক টাকা পাওয়ার সঙ্গে দুই কাপ চায়ের কী সম্পর্ক? তিনি চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞাসা করলেন, দু পেয়ালা কেন? কবি বললেন, আরে, লাখ পেয়ালা চা না খেলে টাকা হয় না। লাখ পেয়ালা হতে আমার এখনও দু পেয়ালা বাকি। কবি সুফিয়া কামাল কাজী নজরুল ইসলামকে ডাকতেন দাদু বলে। নজরুল ইসলাম প্রায়ই সুফিয়া কামালের বাড়ি যেতেন। সেখানে গানের আসর বসত। সে আসরে সাহিত্য অনুরাগী অনেকেই থাকতেন। এ সময় নজরুলের পেছনে গোয়েন্দা লাগে। সাহিত্য অনুরাগীদের সঙ্গে মিশে কয়েকজন গোয়েন্দাও আসতেন। একদিন এক ভদ্রলোকের মুখের ওপর নজরুল কবিতা আওড়ালেন, তুমি টিকটিকি জানি ঠিকঠিকই। কবিতার ধরন শুনে লোকটি মুখ লাল করে উঠে যেতেই কিশোরী সুফিয়া কামাল অবাক হয়ে বললেন, দাদু, তুমি একে চিনলে কী করে? গায়ের গন্ধে। বড়োকুটুম যে। নজরুলের উত্তর। /আরএ
|