দুই দশকের মধ্যেই মানুষের হাতে আসছে অমরত্বের অস্ত্র!
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বয়স বৃদ্ধি একটি রোগ। তাই একে আটকে দিতে পারলেই মানুষ অমরত্বের খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে। বর্তমানে স্টপ এজিং নিয়ে নানান গবেষণাকার্য পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে অ্যালটস নামক এক ল্যাবও কাজ করছে। শোনা যায়, আমাজন সিইও জেফ বেজস বিশাল অঙ্কের টাকা ঢেলেছেন এই গবেষণার পেছনে। অ্যালটস ল্যাব ও মহাকাশ ঘুরে আসা জেফ বেজস এমন একটি পদ্ধতির খোঁজ করতে চান যা কোষের স্বাস্থ্য বদলে দিতে পারে। এই দলে রয়েছেন পৃথিবী বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী। এমনকি তাদের মধ্যে নোবেলপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীও রয়েছেন। সম্প্রতি অ্যালটস ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে, এই অমরত্ব শুধু বিশেষ কারো জন্য আবিষ্কৃত হচ্ছে না বরং সবাই যাতে সুবিধা পেতে পারে তার জন্যই তারা গবেষণা করে যাচ্ছেন। ডেভলপমেন্টাল বায়োলজিস্ট জুয়ান কার্লোস ইসপিসুয়া মনে করেন আগামী ২০ বছরের মধ্যেই আমরা বয়সকে হারিয়ে দিতে পারব। তার কথায়, আগামী দুই দশকের মধ্যে এমন একটি হাতিয়ার আমাদের কাছে থাকবে যা রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি রোগের আগাম পূর্বাভাস দিতে পারবে। এমনকী কোষকে দিতে পারবে নতুন জীবন। আমরা চাই এমন একটি অস্ত্র মানুষের হাতে তুলে দিতে যা রোগে আক্রান্ত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতিকে স্লথ বা আটকে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে সেলুলার রিপোগ্রামিং পদ্ধতি। বায়োটেকনোলজির মাধ্যমেই ঘটবে গোটা বিষয়টি। ডিজানেরাশেন থাকে রিজেনারেশন করা হবে। আর এর ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। ইতোমধ্যেই প্রাণীর দেহে এই বয়স ধরে রাখার বিষয়টি কার্যকর করা গেছে। এক্ষেত্রে ইজপিসুয়া এবং সিন্না ইয়ামাঙ্কার মতো নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর গবেষণাতেও উঠে এসেছে একই তথ্য। তারা মধ্যবয়স্ক ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করেন। তারা ইঁদুরের বয়স ধরে রাখতে সক্ষম হন। এমনকী এই ইঁদুরের বয়সের অনুযায়ী হিসাব করলে মানুষের আয়ু প্রায় ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে ইঁদুর থেকে মানুষের অনেক পার্থক্য। তাই এবার বিজ্ঞানীরা চাইছেন বানরের উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে। তারপর না হয় মানুষের উপর হবে পরীক্ষা। তবে আগামীদিনে যে বয়সকে ধরে রাখা সম্ভব হবে, এই বিষয়টি আশা করাই যায়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া। |