সময়ের আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের জের: হঠাৎ ভিক্ষুক শূন্য উত্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() গত বৃহস্পতিবার উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, হাউজ বিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী ও জসীম উদ্দীন রোডে সরেজমিন ঘুরে সেই ছদ্মবেশী মাদক চক্রের ভিক্ষুক ও সাধারণ ভিক্ষুকদের আনাগোনা শূন্য দেখা গেছে। এমনকি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায়ও ভিক্ষুক শূন্য দেখা গেছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত সাব্বির আহমেদ নামে একজন বলেন, এই এলাকায় আগে ভিক্ষুকের আনাগোনা দেখা গেছে অনেক বেশি। গত সোমবার থেকে ভিক্ষুকের দেখা মেলেনি। ভিক্ষা দিতে চাইলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি ভিক্ষুক নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর হঠাৎ তারা উধাও হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর র্যাব ও পুলিশ প্রতি মোড়ে মোড়ে অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে উত্তরায় হঠাৎ ভিক্ষুক শূন্য হয়ে পরে। কামরুল হাসান নামে এক যুবক জানান, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে সোমবার রাতে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ব্যাপক অভিযান চালায়। স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ভিক্ষুকরাও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। ভিক্ষুকের নামে যেন কেউ মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে না পারে সে কারণেই এই অভিযান। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ভিক্ষুকের আড়ালে যে কেউ মাদক ব্যবসা না করতে পারে সে ব্যাপারে রাজধানীর সব ব্যাটালিয়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মূলত ভিক্ষুকদের ধরতে নয়, এই মাদক ব্যবসা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোমেন সময়ের আলোকে বলেন, ভিক্ষুকরা মাদক ব্যবসায় জড়িত, এ তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা উত্তরায় কয়েকটি স্থানে অভিযান চালাই। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের টহল বৃদ্ধি করি। তিনি বলেন, ওই চক্রটি টের পেয়ে এখন আর বসছেন না। মাদকও বিক্রি বন্ধ হয়েছে। তবে নেপথ্যে কারা ওই ভিক্ষুকদের পরিচালনা করছে তা তদন্ত চলছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জানান, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে যে এত ভয়ঙ্কর তা জানা ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমাদের নজরে আসার পর আমরা মোড়ে মোড়ে টহল বৃদ্ধি করেছি। কয়েক স্থানে অভিযান চালিয়েছি। আসলে ভিক্ষুকদের ব্যবহার করছে মাদক চক্রের সদস্যরা। আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, আমরা এই বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রাখছি। /জেডও/
|