রহস্য উন্মোচন
পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি জানান, সোলেমানের স্ত্রী খালেদা আক্তার পিঙ্কির ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এ দম্পতির ফারিয়া সুলতানা ও সালমা আক্তার জান্নাত নামে দুটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। যার মধ্যে ফারিয়া সুলতানের বয়স পাঁচ বছর ও বাবার হাতে খুন হওয়া ৪ মাসের শিশু সালমা আক্তার জান্নাত। বিয়ে পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও হঠাৎ করে সোলেমান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর সোলেমান স্ত্রী ও ৪ মাসের কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে কম্বলে পেঁচিয়ে ঘরের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত ৩ জানুয়ারি পিঙ্কির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে সোলেমান হোসেনকে আসামি করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় সোমবার রাতে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমানকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোলেমান স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার কথা সিআইডির কাছে স্বীকার করেছে। সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি এক নারীর সঙ্গে সোলেমানের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে তার সাংসারিক জীবনে সে আগের মতো মনোযোগ দিতে পারছিল না। তার এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান পিঙ্কি। এ পরকীয়া সম্পর্ক থেকে সোলেমান যেন দূরে সরে আসে সেজন্য পিঙ্কি তাকে বারবার চাপ দিয়ে আসছিল। ফলে এ নিয়ে সংসারে লাগাতার কলহ সৃষ্টি হতো তাদের মধ্যে। হত্যা পর তাদের মৃতদেহ ঘরে থাকা কম্বলে পেঁচিয়ে মেঝেতে রেখে ঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায় সোলেমান। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সোলেমানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। /জেডও/ |