রায়ে সন্তোষ প্রকাশ আবরারের বাবার, দ্রুত কার্যকরের দাবি
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() তিনি বলেন, আমার ছেলে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় যে রায় প্রকাশ করা হয়েছে তাতে আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। যেদিন হাইকোর্টে এ রায় বহাল থাকবে এবং সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হবে সেদিন আমরা পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্ট হবো। আবরারের বাবা বলেন, আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেই তখন আমাদের সচেতন থাকা উচিত। আমার ছেলেকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন এ ধরণের হত্যাকাণ্ড যেন আর না ঘটে। বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে আমার একটাই আবেদন থাকবে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবেন তারা যেন সচেতন থাকেন। আর যেন কোনো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়। তিনি আরও বলেন, এ রায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তদন্ত কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন ও মামলার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সব টিভি চ্যানেলের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২৫ আসামির সবার ফাঁসির দণ্ড আশা করেছিলেন তার বাবা ও মামলার বাদী বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘রায়ে সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। কেউ যেন মামলা থেকে খালাস না পায়। রায়টি যেন দৃষ্টন্তমূলক হয়। আর যেন আমার মতো কোনো বাবা মায়ের বুক খালি না হয়। আদালতের প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে।’ এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এই রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের লাশ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে জানান, মাথা, বুকসহ পুরো শরীরে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপের নির্মম আঘাতের কারণেই মারা যান আবরার। এফএইচ
|