রাজধানীতে শিক্ষার্থী ও গৃহবধূর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() সবুজবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) বিমল চন্দ্র পাইন জানান, আমরা খবর পেয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্ট্রেচারের উপর থেকে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, নিহত শিক্ষার্থীর সজনের কাছ থেকে জানতে পারি, নিহত শিক্ষার্থী মুগদা রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রি টেস্ট পরীক্ষায় কিছু সাবজেক্ট খারাপ হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে বলেও ধারনা প্রকাশ করেন তিনি। নিহতের চাচা আজিজুল ইসলাম জানান, আমার ভাতিজা মুগদা রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। সে প্রি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছে। কিছু সাবজেক্ট পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে অভিমান করে। নিজ বাসার স্টোররুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে দরজা না খুললে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রয়েছে। এ সময় তাকে দ্রুত মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহতের বাসা সবুজবাগের দক্ষিণ মাদারটেক কবরস্থান এর পাশে ১২৭ নম্বর বাসা। পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত সে। নিহতের বাবার নাম মোহাম্মদ শিমুল। তারা দুই বোন ও এক ভাই। সে ছিল সবার বড়। অপরদিকে, আদাবরে সুমি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। আদাবর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল বাশার জানান, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সকাল ছয়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর কলহের জের ধরে গত ২ ডিসেম্বর দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় নিজ রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের বড় ভাই আব্দুল মালেক জানান, আমার বোনের প্রায় ৫ মাস আগে আরমান বাসারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর কলহ লেগেই থাকত। আমার বোন অতিরিক্ত রাগী ছিলো। কথায় কথায় রেগে যেত। গত ২ ডিসেম্বর স্বামী বাসায় থাকা অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে তার নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে আজ চিকিৎসাধীন ব্যবস্থায় মারা যায়। তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদর জেলার মহত্তাপুর গ্রামে। সে মৃত নূর নবী মাস্টারের সন্তান। বর্তমানে, আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিংয়ে স্বামী আরমান বাসায় বসবাস করছিলেন। তারা চার ভাই ও চার বোন ছিলেন। /এসএম
|