এতিমের টাকা কমিটির পকেটে!
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
|
![]() উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন মাস পর্যন্ত ৮টি এতিমখানায় ১৪০ জন এতিমের নামে ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতিমখানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করেছেন। ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বাবদ প্রত্যেক এতিম মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দকৃত ২ হাজার টাকার মধ্যে খাদ্য বাবদ ১ হাজার ৬০০ টাকা, পোশাক বাবদ ২০০ টাকা, ওষুধ ও অন্যান্য ২০০ টাকা ব্যয় করার শর্ত রয়েছে। উপজেলার এতিমখানায় সরেজমিনে দেখা যায়, ১২ জন এতিমের বরাদ্দ নিচ্ছেন চৈতা নেছারিয়া। কিন্তু এতিম রয়েছে ৪ জন, মানসুরাবাদ এতিমখানা ১২ জন এতিম থাকার কথা থাকলেও আছে ৩ জন। রামপুর সিদ্দিকিয়ায় ১২ জনের নাম থাকলেও সরেজমিনে একজনও পাওয়া যায়নি। কলাগাছিয়া ছালেহিয়া এতিমখানায় নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে একজন কম রয়েছে। ঘটকের আন্দুয়া এতিমখানায় কোনো এতিম না থাকলেও তারা বরাদ্দ পাচ্ছে ৬ জনের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলেন, এতিমদের সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা কমিটির সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেয়। সমাজসেবা অধিদফতরের নিয়মানুযায়ী যেসব শর্তে বরাদ্দ আসে তার ছিটেফোঁটাও নেই বেশিরভাগ এতিমখানায়। তারপরও বিভিন্ন তদবিরে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এতিমখানাগুলোয়। রামপুর সিদ্দিকিয়া শিশু সনদের সভাপতি অধ্যক্ষ এমএফ নুরুল হক জানান, আমাদের এতিমখানায় ২০-২৫ জন এতিম আছে সবাইকে আমরা ভরণ-পোষণ দেয়। আপনার যা লেখার আপনি লিখে দেন। কলাগাছিয়া সালেহিয়া এতিমখানার সভাপতির কাছে সুবিধাভোগী এতিমদের তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। অথচ ওই মাদ্রাসা থেকে ৮ জন এতিম সুবিধা পাচ্ছে। সরেজমিনে ৩ জন এতিম উপস্থিত পাওয়া যায়। তবে তাদের বাবা-মা জীবিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ অর্থের বরাদ্দ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। চলতি বছরে প্রতিটি মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে আমার নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে সমাজসেবা দফতরকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে অভিযোগকৃত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। |