কমপক্ষে ৩৮ দেশে ওমিক্রন
সময়ের আলো ডেস্ক
|
![]() ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণে এখনও কোনো মৃত্যুর কথা তারা জানতে পারেনি। তবে নতুন এই ধরন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় সব দেশকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপে মোট কোভিড সংক্রমণের অর্ধেকই হতে পারে ওমিক্রনের কারণে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শুক্রবার বলেছেন, ডেল্টার মতো নতুন এ ধরনও বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি কমবে। ওমিক্রন নিয়ে প্রাথমিক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। সেখানে দেখা গেছে, ডেল্টা ও বেটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিনগুণ বেশি। এ ছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ওমিক্রনের রয়েছে। রেডক্রসের প্রধান ফ্রান্সেসকা রোকা বলছেন, বিশ্বব্যাপী টিকাদানের হারে বৈষম্যের কারণে কত বড় বিপদ আসতে পারে, ওমিক্রনের সংক্রমণ তার প্রমাণ। দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুদের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির হার ঊর্ধ্বমুখী। তবে তারা বলছেন, কম বয়সিদের ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি বেশি, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটির শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বোয়ামীনাথন শুক্রবার এক সম্মেলনে বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি এক বছর আগের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। আতঙ্কিত হওয়ার বদলে তাই সতর্ক থাকতে হবে। ড. স্বোয়ামীনাথন দক্ষিণ আফ্রিকার তথ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, এই ভ্যারিয়েন্ট ‘অতি সংক্রমণশীল’ এবং সারা বিশ্বে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে- যদিও এসব আগে থেকে ধারণা করা কঠিন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে বর্তমানে যেসব সংক্রমণ ঘটছে তার ৯৯ শতাংশের জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ‘আমাদের কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? আমাদের প্রস্তুত ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন, আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। কারণ আমরা এখন এক বছর আগের চেয়ে ভিন্ন অবস্থানে আছি,’ বলেন তিনি।
|