সুস্থতায় ডার্ক চকলেট
জীবন যখন যেমন ডেস্ক
|
![]() পুষ্টিগুণে ভরপুর ডার্ক চকলেটে রয়েছে ফাইবার ও খনিজ পদার্থ। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেট বারে শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়ার পাশাপাশি থাকে লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড পুষ্টিকর, যা অলিভ অয়েল। ঝুঁকি কমায় হৃদরোগের শরীর থেকে অপকারী চর্বি বের করে ডার্ক চকলেট। ফলে হৃৎপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করে। দিনে পাঁচবার ডার্ক চকলেট খেলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে ৫৭ শতাংশ। তবে যারা ইতোমধ্যে হৃদরোগে ভুগছেন তাদের চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। ক্যানসার প্রতিরোধ দেহের রোগ সৃষ্টিকারী রেডিক্যালস ক্যানসার, ডায়াবেটিস অ্যালঝিইমার ইত্যাদি রোগের কারণ, যা থেকে রক্ষা পেতে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। কারণ এটি খেলে ইন্সুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। কোকো পাউডারের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ উপাদানগুলো এবং পলিফেনোল শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় না। রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ডার্ক চকলেটে কোকোয়া থাকায় এটি রক্ত চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনে উদ্দীপনা বা উৎসাহিত করে। এ কারণে রক্তনালির রক্তপ্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে। বিষণ্নতা কমায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কোকোয়া বীজে থাকা ফ্লেভানল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা মানুষকে উদ্দীপিত করে তোলে। এ ছাড়া দিনে ৪০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেলে দুসপ্তাহের মধ্যে স্ট্রেস হরমোনও কমে যায়। ত্বকের যত্ন ডার্ক চকলেটে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপারসহ অনেক উপাদান আছে, যা আমাদের দেহে কোলাজেন নামক এক ধরনের প্রোটিন তৈরি করে। এই ক্লোজেন আমাদের দেহের ত্বক মোলায়েম ও স্বাস্থ্যবান রাখে। ডার্ক চকলেটে থাকা ক্যালসিয়াম থাকে এবং এই ক্যালসিয়াম ত্বকের ক্ষয়রোধ করে ও নতুন ত্বক তৈরিতে সাহায্য করে। /জেডও/ |