এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক কেবল তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ের প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এইসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের আবশ্যিক বিষয়গুলোর নম্বর দেওয়া হবে। এসব বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুক্ষরায় নজর দিয়ে এবার বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রগুলো। বৃহস্পতিবার থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস রোধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি থাকছে। অতিমারি করোনায় পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্রে পরিবর্তন। ইংরেজি ‘জেড’ বর্ণের আকারে একটি বেঞ্চে বসবে একজন পরীক্ষার্থী। প্রতিটি বিভাগে পরীক্ষা হবে ছয়টি বিষয়ে। সময় দেড় ঘণ্টা আর উত্তর লিখতে হবে। এবার সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা অংশ নেবে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দেবে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন। এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষা দেবে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন। কেন্দ্র সচিবদের করণীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রের প্রবেশমুখে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হবে। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একজনের বেশি অভিভাবক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এ বছর বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নেওয়া হবে। |