ডিসেম্বর থেকে প্রবাস ফেরতদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
|
![]() নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে প্রবাস ফেরত কর্মীদের ঘুরে দাঁড়াতে ‘আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি প্রবাস ফেরত নারীদের সহায়তা করতে ‘নারী উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান ঋণ’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস ফেরতদের শর্ত সাপেক্ষে এই ঋণ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়া করেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী এক ডিসেম্বর থেকে এই ঋণ দেওয়া কার্যক্রম শুরু হবে। জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৫০ কোটি টাকা বিদেশফেরত কর্মীদের সহায়তার জন্য ‘আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বিদেশ ফেরত কর্মীদের করোনার সময় দেশে ফেরত আসার প্রমাণ, পাসপোর্টসহ আনুসঙ্গিক কাগজপত্র লাগবে। অন্যদিকে, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে বিদেশগামী নারীকর্মীদের জন্য চালু করা হচ্ছে ‘নারী উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান ঋণ’। প্রকল্পটি চলমান থাকবে। ওয়ার্কিং ভিসাধারী নারীকর্মীরা এখান থেকে ঋণ নিতে পাবেন। মূলত, বিদেশফেরত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য এ ঋণ প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাস ফেরতদের জন্য এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বাইরে আরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে করোনার কারণে বিদেশফেরত প্রবাসীদের প্রশিক্ষণ দেবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। প্রশিক্ষণ শেষে উপযুক্ত দুই লাখ কর্মীর প্রত্যেককে প্রণোদনা হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ^ব্যাংকের মধ্যে কোভিডফেরত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টের সাবসিডি চুক্তি গত ২৮ অক্টোবর সই করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ লোককে আরপিএম বা রিকগনেশন অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটার সব খরচ এ প্রকল্প থেকে ব্যবহার করা হবে। |